সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।পটুয়াখালীর দশমিনায় সবুজ লতায় মোড়ানো বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে তরমুজ গাছ।
ফাঁকে ফাঁকে ফলও ধরেছে কোনো কোনো গাছে। কিন্ত হঠাৎ করেই শেকড় নিস্তেজ হয়ে একের পর এক মরছে গাছ। বালাইনাশক প্রয়োগে হচ্ছে না কোনো সমাধান। দক্ষিণাঞ্চলে তরমুজ উৎপাদনে অন্যতম এলাকা হিসেবে পরিচিত দশমিনা
উপজেলা অজানা কারণে মরছে তরমুজ গাছ। ফলে বিপাকে পড়েছে উপজেলার তরমুজ চাষিরা। এটি কোনো রোগ নাকি ভাইরাস-তা এখনও নির্নয় করতে পারেনি কৃৃষি বিভাগ। তবে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে দাবী কৃষি বিভাগের। এই মুহুর্তে খুবই অল্প পরিসরে গাছ আক্রান্ত হয়েছে। তবে এর পরিধি যেন না বাড়ে এজন্য গাছ মরে যাওয়ার কারণ নির্ণয় করতে বিশেষজ্ঞদের গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে দাবী কৃষকদের। সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটাখালী চরের বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে ৭০জন চাষি প্রায় সাড়ে ৮৭একরে তরমুজ আবাদ করছেন। এ চরের ফলন্ত তরমুজ গাছ অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মরে যাওয়ার ঘটনা বেশি। কাটাখালী গ্রামের তরমুজ চাষিরা বলছেন, আক্রান্ত গাছ উপড়ে ফেলে দিতে হচ্ছে। তা নাহলে পাশের গাছও আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। কাটাখালী চরের তরমুজ চাষি মো. রাসেদুল ইসলাম বলেণ, আমি তিন কানি জমিতে তরমুজ দিছি। তিন ভাগের একভাগই মরে গেছে। এখন দুই ভাগ আছে। তাও একের পর এক শেকড় এবং পাতা শুকিয়ে মরছে। এটার কারণ যে কি বুঝি না। পানি দিচ্ছি, ঔষুধ ব্যবহার করছি-কোনটাতেই কোনো কাজ হচ্ছে না। অনেক টাকা খরচ করতেছি। ফল আশার সময় গাছ মরে যাচ্ছে। আমার কি হবে জানিনা। লোকসান হবে দান দেনার কি করবো বুঝিনা। অন্যচাষি রুবেল আকন বলেন, একই জমিতে কয়েক বছর যাবৎ তরমুজ চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া আর শেষ মুহর্তে বৃষ্টির ফলে এমন হয় কি না জানিনা। সবাই-ই দাদন আর ঋণের টাকা এনে তরমুজ দিছে। এখন লোকসান হলেতো আমরা মাঠে মাইর। এবিষয়ে দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহম্মেদ বলেণ, অতিরিক্ত সার এবং বালাইনাশক প্রয়োগ ও একই জমিতে বার বার তরমুজ আবাদ এর ফলে গাছ মরে যাওয়ার কারণ প্রাথমিকভাবে হতে পারে। তিনি আরো
বলেণ, সঠিক কারণ নির্ণয় করতে বিশেষজ্ঞদের গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। মাঠপর্যায়ের কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।