বরগুনার আমতলীতে বখাটেদের উৎপাত প্রভাবশালীদের হুমকিতে বাধ্য হয়ে মাদ্রাসা স্থানান্তর করতে গিয়ে ফিরে আসলেন উপজেলার রাওঘা গ্রামের আশ্রাফুল উলূম কাওমী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মাওলানা মোঃ মহিবুল্লাহ। মঙ্গলবার আমতলী উপজেলা প্রেসক্লাবে এমন অভিযোগ করেন তিনি। জানা গেছে, ২০১৯ সালে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ রাওঘা গ্রামে আমির শাহ্ মৃধা বাড়ীর মসজিদের উত্তর পাশে আশ্রাফুল উলুম নামের কওমিয়া মাদরাসাটি স্থাণীয়দের দানকৃত জমিতে একটি টিনসেড ভবনে কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুর দিকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম থাকলেও বর্তমানে ওই মাদরাসায় শিশু থেকে ৪র্থ শ্রেণীর পর্যন্ত ৪০ এর অধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। আশ্রাফুল উলুম কওমিয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মাওলানা মোঃ মহিবুল্লাহ বলেন, স্থাণীয় প্রভাবশালী ও বখাটে যুবকরা আমাকে এখানে মাদরাসা চালাতে দিবেনা বলে হুমকি দিচ্ছে, তারা রাতে মাদরাসার টিনের চালে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন, যার কারনে কোন শিক্ষক রাতে ভয়ে মাদরাসায় রাত্রীযাপন করতে চায় না। এসব কারনে আমি মাদরাসাটি অন্যাত্র স্থানান্তরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় আমাকে মাদরাসাটি স্থানান্তর ও বখাটে যুবকগনের বিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে পত্র প্রেরন করেছেন। তারপর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ২৮ সেপ্টেম্বর তার নিজ অর্থায়নে নির্মিত মাদরাসার টিনসেট ভবন ভাঙতে ও আসবাবপত্র নিতে এসেছিলাম কিন্তু প্রভাবশালী সিদ্দিক মৃধা, মিজানুর রহমান মৃধা, আলহাজ্ব মৃধা, বশির উদ্দিন বাদল মৃধা, রেজা মিয়া, মহসিন মিয়া, শাকিল মৃধা ও রকিব মৃধাসহ প্রভাবশালীরা মাদ্রাসা স্থানান্তরে বাঁধা দেয় এবং দেশিও লাঠি সোটা নিয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাসহ শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে মাদ্রাসা স্থানান্তরের কাজে নিয়োজিতদের তাড়িয়ে দেয়। এঘটনায় দু গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের মত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এবিষয় অভিযুক্তদের একজন প্রভাবশালী সিদ্দিক মৃধা বলেন, গ্রামবাসী চায় এখানে মাদ্রাসাটা থাকুক এজন্য আমরা বাঁধা দিয়েছি।ইউএনও স্যার মাদ্রাসা স্থানান্তরের জন্য চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছেন এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তোর দিতে পারেন নি। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।