পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে সেলিম চৌধুরী:-ঐতিহ্যবাহী সাবেক মহকুমা পটিয়া সদরে অবস্থিত পটিয়া ক্লাবের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে দিয়ে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে ক্লাবের সাধারণ ও আজীবন সদস্যরা। ৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার পদাধিকারবলে ক্লাবের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আড়াই শতাধিক সদস্যের স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের মিনি পার্লামেন্ট নামে খ্যাত দীর্ঘ ৮০ বছরের পুরানো এই ক্লাবের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই বছর পরপর সাধারণ ও আজীবন সদস্যদের অংশগ্রহণে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনের মাধ্যমে কার্যকরী সংসদ গঠন, প্রতি বছর বার্ষিক সভা, ত্রৈমাসিক সাধারণ সভা, প্রতিমাসে একবার কার্যকরী সংসদের সভা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু কোন সভা আহ্বান না করে অবৈধভাবে মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যকরী সংসদ গঠনতন্ত্রের বিধিসমূহ লঙ্ঘন করে অদ্যাবধি কোন নির্বাচনের আয়োজন না করে দিনের পর দিন অন্যায়ভাবে কমিটি অনুমোদনহীন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এমনকি এইসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কার্যকরী সংসদের ০৮ (আট) জন সদস্য অনেক আগেই কার্যকরী সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। দুই জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। মেয়াদোত্তীর্ণ কার্যকরী সংসদ ভেঙে দিয়ে ক্লাবের গঠনতন্ত্রের ধারা ১২ এর ক (৩) উপধারা অনুযায়ী সাধারণ সভা আহ্বান করে তিন মাস মেয়াদের এডহক কমিটির মাধ্যমে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের অনুরোধ জানানো হয়।স্মারকলিপি প্রদানকালে পটিয়া ক্লাবের সাধারণ ও আজীবন সদস্যদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা সামশুদ্দিন আহমদ, প্রফেসর বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর চৌধুরী, প্রফেসর আবদুল আলিম, একেএম সামশুল আলম, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল জলিল, অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ আবু তৈয়ব, সম ইউনুছ, মুহাম্মদ ছৈয়দ চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের, অধ্যাপক অভিজিৎ বড়ুয়া মানু, জয়নাল আবেদীন, সেলিম উদ্দিন, আলমগীর আলম, এম এন এ নাছির, পিযুষ কুমার দে, সাইফুল ইসলাম, নুরুল আবছার, শিমুল ধর, জালাল উদ্দিন। এ বিষয়ে ক্লাবের সভাপতি ও ইউএনও আলাউদ্দিন ভুইয়া জনি জানান, ঐতিহ্যবাহী পটিয়া ক্লাবের মেয়াদদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙ্গে দেওয়ার বিষয়ে ক্লাবের সাধারন ও আজীবন সদস্যরা একটি আবেদন করেছে। এ বিষয়ে ক্লাবের গঠনতন্ত্র ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।