নিজস্ব প্রতিবেদক :উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুখালি এলাকার শাহাব উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মদ একাম উদ্দিন (২৪) মাদকের ছোঁয়ায় আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। সুত্রে জানা যায়, তার বাবা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক দফদার। সে নারী কেলেঙ্কারের কারণে দফদারের পদ থেকে বহিস্কৃত হয়। তার কারণে সে বেকার হয়ে পড়লে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে বলে জানায় এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে জানা যায়, ইয়াবা গডফাদার একাম উদ্দিনের নানা একজন পুরাতন বার্মায়া। একাম উদ্দিনের বাড়ি মায়ানমার সীমান্তের একদম কাছাকাছি তার সুযোগে মায়ানমার হতে মাদক সংগ্রহ করে দেশের আনাচেকানাচে মাদক পৌঁছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তার নানার বাসা ও আত্মীয় স্বজন মায়ানমারে থাকায় তারা রমরমা ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে রাতারাতি হয়ে গেছেন কোটিপতি। জানা যায়, একাম উদ্দিনের পিতা সাহাব উদ্দিনের একসময় কিছুই ছিলো না। একাম উদ্দিন ভাল কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়নি তারপরও টাকার জোরে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য এডমিশন নিয়েছে চট্রগ্রামের এক প্রাইভেট কলেজে। সে চট্টগ্রামে পড়াশোনার নাম ভাঙ্গিয়ে মাদক সরবরাহ করে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক নিকটতম আত্মীয় বলেন একাম উদ্দিন প্রতি মাসে কলেজ থেকে বাড়িতে আসে ১৫/২০ বারের অধিক। সে আরো বলেন, বালুখালীতে তাদের ছোট একটা কুড়ি ঘর ছিল, কিন্তু ইয়াবার ছোঁয়ায় এখন তাদের ১০রুম বিশিষ্ট একটি রাজপ্রাসাদের মত বাড়ি রয়েছে। উক্ত এলাকার তার এক বন্ধু বলেন, সে চট্টগ্রামের চকবাজার কিনেছে আলীশান ফ্লাট, একাধিক গাড়িসহ অনেক সহায় সম্পত্তি। সুত্রে জানা যায়, কিছু দিন আগে র্যাবের হাতে আটক হওয়া রো’হি’ঙ্গা আবদুল আমিন শাহাব উদ্দিনের ইয়াবা ব্যবসার বিশ্বস্ত এক সহযোগী ছিলেন। সে ৫৮,০০০ হাজার পিছ ইয়াবাসহ আটক হলেও শাহাব উদ্দিনের কাছে জমা রয়েছে শত কোটি টাকার ইয়াবা। রোহিঙ্গা আবদুল আমিন গ্ৰেফতার হলে ও গডফাদার রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বর্তমানে শাহাব উদ্দিন ও তার ছেলে একাম উদ্দিন ক্যাম্প- ৯ ও ৮এর সমস্ত ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রক বলে জানা যায়। বার বার স্হানীয়দের ভাষ্যমতে উঠে আসছে লেখাপড়ার বাহানা দিয়ে একাম উদ্দিন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাউকে তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের চোখে ধুলা দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা ইয়াবা বানিজ্য। ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায় অথচ দেখার কেউ নাই। বালুখালীর এক বৃদ্ধা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি জানান, ইয়াবা গডফাদার শাহাবুদ্দিন রোহিঙ্গাদের কে ব্যবহার করে রোহিঙ্গা শিবির থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে তা রোহিঙ্গা ও স্থানীয় ছাত্র ও যুবকদের দিয়ে দেশের প্রত্যান্ত এলাকায় ইয়াবা চালান পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা তার জন্য মামুলি ব্যাপার। এই আয়ের অবৈধ অর্থে দাপটে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে জিআর- ৫৮/২১ইং সহ একাধিক মামলাও। এ বিষয়ে একাম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। স্হানীয়দের দাবী শাহাব উদ্দিন ও তার ছেলে একাম উদ্দিনকে আইনের আওতায় আনা না হলে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে । ইয়াবা গডফাদার একাম উদ্দিন পিতা শাহাব উদ্দিনকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।