নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল মৌজাস্থিত ১৯১ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট ডিভিশন রিট পিটিশন নং- ১১৮৩৭/২০২৩ এর আদেশ মোতাবেক স্থিতিবস্থা (Status-quo) চলাকালীণ সময়ে বর্ণিত সম্পত্তিতে আইনী নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও হারুনুর রশিদ গং তাদের মনগড়া কার্যকলাপ পরিচালনা করে চলছে বলে মামলার বাদী মীর মাহাবুব হোসেন রাসেল’র অভিযোগ। এ বিষয়ে প্রতিকার পেতে ভুক্তভোগী রাসেল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়- সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন গোদনাইল মৌজার সি এস- ৩৫৩ ও এস এ- ৭০২ ও আর এস খতিয়ান নং- ৭৪৬। যাহার সি এস ও এস এ দাগ নং- ১৮০৮, ১৮১৭, ১৮০৬, ১৮১৮, ১৮১৯, ১৮২১, ১৭৯৪, ১৭৯৬, ১৭৯৩। আর এস দাগ নং- ৩৭৮২। জমির পরিমান ১৯১। মীর আনোয়ার হোসেন উক্ত সম্পত্তি ক্রয় সূত্রে মালিক ও দখলদার হিসেবে থাকাকালীণ সময়ে মৃত্যুবরণ করলে, পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে এ সম্পত্তির মালিক হন মীর মাহাবুব হোসেন রাসেল গং। কিন্তু উক্ত দাগের জমি মীর আনোয়ার হোসেন’র নামে আর এস রেকর্ডে রেকর্ড ভূক্ত না হয়ে আলী হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়। ভূল বসতো মীর আনোয়ার হোসেন’র নাম আর এস রেকর্ড না হওয়ায় জীবিতকালে রেকর্ড সংশোধনের জন্য দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার চলমান মামলা নং- ২৪/২৩। মীর আনোয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করলে, বর্তমানে এ সকল সম্পত্তির মামলা পরিচালনা করছেন তাঁর পুত্র মীর মাহাবুব হোসেন রাসেল।
তিনি পৈত্রিক ওয়ারিশ সম্পত্তি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও হারুনুর রশিদ’র নিকট হতে দখল মুক্ত করতে মামলা পরিচালনা সহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে চলছেন। কিন্তু মামলা চলমান থাকা অবস্থায় ও মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ থাকলেও উক্ত জমিতে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে চলছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও হারুনুর রশিদ গং। আইনের নির্দেশনা অমান্য করে এ জমিতে যেনো কোন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে না পারে তার জন্য প্রতিকার চেয়ে মীর মাহাবুব হোসেন রাসেল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এবং মহামান্য আদালতের আদেশের প্রজ্ঞাপনটির সাইনবোর্ড জমিতে লাগিয়ে দেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাসেল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট ভূমি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।