সক্রিয় মৌসমুী বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে, এর প্রভাবে গত দুই দিন ধরে উপকূলীয় এলাকায় থেম থেমে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। তবে বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি, এতে স্থবিরতা নেমে এসেছে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে, ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ, এদিকে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে, বাতাসের তীব্রতা অনেকটা বেড়েছে, নদ-নদীর পানির উচ্চতা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলীয় এলাকা দিয়ে যেকোনো সময় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে, তাই পটুয়াখালীর পায়রা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে, সকল মাছধরা ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে, তবে এখনো গভীর সাগরে বেশ কিছু মাছধরা ট্রলার অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা। কলাপাড়া পৌর শহরের ষাটোর্ধ অটো চালক মাহাবুব মিয়া জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে রাস্তায় যাত্রী নেই, কিন্তু আমরাতো ঘরে বসে থাকতে পারিনা, কারণ তাহলে না খেয়ে থাকতে হবে, আমাদের দু:খ কেউই দেখেনা, বৃষ্টিতে ভিজে ১টা খেপ নিয়ে ৫টাকা বেশি চাইলে দিতে চায়না। আলীপুর কুয়াকাটা মৎস্য ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, বিরুপ আবহাওয়ার কারণে অধিকাংশ মাছ ধরার ট্রলার শিববাড়িয়া নদীর পোতাশ্রয় নোঙর করলেও কিছু ট্রলার এখনো সমুদ্রে রয়েছে। পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টায় বষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই সঙ্গে উপকূলে তীব্র বাতাস এবং ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।