সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই কুয়াকাটা পৌরসভার সামনে ভীড় করে হাজারো জেলে। ৮০ কেজি করে সরকারী বরাদ্ধ আসলেও অনেক জেলে পেয়েছেন ৪০ কেজি। আবার অনেকে পেয়েছেন ৫০ কেজি। অনেকের নাম আবার জেলে তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও চাল না পেয়ে ফিরেছেন খালি হাতে। জেলেদের অভিযোগ, তাদের চাল না দিয়ে দেয়া হয়েছে মেয়র ও কাউন্সিলদের স্বজনদের। কুয়াকাটা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের জেলে আব্দুল্লাহ ও ইব্রাহিম খা জানান, আমরা ১২ মাস সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করি। আমরা দুজনই জেলে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছি। কিন্তু আজ আমরা চালের জন্য পৌরসভায় গিয়ে ফিরে এসেছি। কাউন্সিলর সাহেব আমাদের চাল দেয়নি। আজ যারা চাল পেয়েছে আপনারা খুজে দেখেন এর মধ্যে অনেকেই কাউন্সিলরের আত্মীয় স্বজন, ভ্যান ওয়ালা ও মুদি দোকানী রয়েছেন। আমাদের উপর অবিচার করা হয়েছে। ৪ নং ওয়ার্ডের আবদুস সালাম জানান, আমাকে আজ ৮০ কেজি চাল দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু দেওয়া হয়েছে ৫০ কেজি। বাকি চাল কি করছে সেটা বলতে পারছিরনা। কাউন্সিলর ব্যস্ত থাকায় তার সঙ্গে কথাও বলতে পারিনি। ৩ নং ওয়ার্ডের তোফাজ্জেল জানান, আমাকে ৮০ কেজির পরিবর্তে ৫০ কেজি চাল দিছে। দুই মাসে মাত্র ৫০ কেজি চাল দিয়ে সংসার চলবে। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, আমার এলাকায় নিবন্ধিত ১৩০০ জেলে রয়েছে। কিন্তু চাল আসছে ৮০০ জনের। জেলেরা সবাই ভাগ করে চাল নিছে। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলেদের চাল বিতরনে অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।