নিজস্ব প্রতিবেদক :কক্সবাজারের উখিয়া লাগোয়া নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ফুটবল টুর্নামেন্টের নামে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ করিয়ে প্রবেশ ফি:’র নামে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ-লাখ টাকা।এতে কচুবনিয়া ক্রীড়া পরিষদের দায়ীত্বশীল কয়েকজনের পেট মোটাতাজা হয়েছে।ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির কয়জন সদস্য, সভাপতি কে,সাধারণ সম্পাদক কে পরিচিতি ছিলনা।প্রতিটি খেলায় ইউনুস নামের একজন কে মাতব্বরি করতে দেখা যেতো।আবার ইউনুস নিজেই স্বীকার করেছে,সে কচুবনিয়া ক্রীড়া পরিষদের এবং কচুবনিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর সভাপতি। তবে সাধারণ সম্পাদক কে সে নিজেও ভালো করে জানে না। প্রাপ্ত সুত্রে জানা গেছে,গত মাসব্যাপী ঘুমধুম ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কচুবনিয়া এলাকায় পাহাড় কেটে মাঠ তৈরী করে কচুবনিয়া ক্রীড়া পরিষদের আয়োজনে কচুবনিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত টুর্নামেন্টের প্রতিটি টীম ৫০০০ থেকে ১০ হাজার টাকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।তাও আবার প্রায় টীম রোহিঙ্গা ক্যাম্পের।ফলে প্রতি খেলায় ৫ থেকে ৭ হাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে পড়তো, আসতো গ্রামের কচুবনিয়া খেলায়।প্রতিজন দর্শক ২০ থেকে ৫০ টাকা হারে প্রবেশ ফি:দিয়ে খেলা দেখতো। এভাবে গত এক মাসের খেলায় কোনদিন দুটি খেলাও চলে।এভাবে দৈনিক অন্তত এক লাখ থেকে দুই লাখ পর্যন্ত প্রবেশ ফি:’র টাকা উত্তোলন করেছে। রোহিঙ্গাদের এভাবে গ্রামাঞ্চলে বিপুল সমাগম করাতে স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়।অনেকেই খারাপ প্রকৃতির রোহিঙ্গাদের দ্ধারা খারাপ কর্মকান্ড সংঘঠিত হওয়ার আশংকাও করেন।কারণ খেলার অজুহাতে খারাপ প্রকৃতির রোহিঙ্গারা সব কিছু চিহ্নিত করে গেছে। আরোও জানা গেছে,প্রায় প্রতিদিন এক লাখের বেশী টাকা উত্তোলন করলেও,ফাইনাল খেলার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে ১১ ফেব্রুয়ারী। ওইদিন বিকেলে খেলা শুরু হলেও দুপুর থেকে চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ করে তোলা হয় প্রবেশ ফি:’র টাকা।ওইদিন ফাইনাল খেলা উপলক্ষ্যে উপস্থিতির সংখ্যাও ছিলো অন্যদিনের তুলনায় ৪/৫ গুণ।সে হিসেবে ফাইনাল খেলায় অন্তত ১০-১৫ হাজার দর্শকের সমাগম ঘটে।এতে প্রবেশ ফি:’র নামে উত্তোলিত সব টাকা ইউনুসের পকেটেই যেতো শুরু থেকেই।এভাবেই অবৈধ ভাবে ক্যাম্প থেকে হাজার-হাজার রোহিঙ্গা বের করে আনা হতো।খেলা শুরু থেকেই সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত একক কর্তৃত্ব চলতে থাকে পুরো সংগঠন ও টুর্নামেন্ট কমিটির সব পদের অধিকারী ইউনুসের হাতে।ফলে ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রতি খেলা এবং ফাইনাল খেলায় উত্তোলিত থেকে টুর্নামেন্টের সব খরচ কর্তন করেও অন্তত ৬/৭ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছে হটাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া ইউনুস। এ বিষয়ে জানতে চাই খেলা পরিচালনা কমিটির সাইফুল নামক এক সদস্য ,বলেন ইউনুসই সব জানেন। খেলার বিষয়ে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইউনুসের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে ইউনুস নিজেকে কচুবনিয়া ক্রীড়া পরিষদ ও টুর্নামেন্টের সভাপতি দাবী করলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এড়িয়ে যান।