রাকিব হোসেন মিলন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ রাজধানীর ডেমরা থানার মাতুয়াইল এলাকার ৬৫ নং ওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত সাইনবোর্ড বাদশা মিয়া রোডস্থ নিউ টাউন আবাসিক এলাকায় ৬ নং রোডে গত ২৮ নভেম্বর বেলা ১২ টায় প্রায় পঞ্চাশ শতাধিক পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি একই এলাকার মান্নান মুন্সী ও বাসেদ গং এর যোগসাজশে ভেকু দিয়ে কেটে দেন মৃত আব্দুল সোবহানের ছেলে সাহিদুল হক জুয়েল চৌধুরী। এতে করে এই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।ফলে কয়েকশত মানুষ চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় কষ্ট করে চলতে গিয়ে উল্টে পড়ে আহত হয়েছেন অনেকেই। তাই বয়স্কদের ঘর থেকে বের হওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। এই একমাত্র রাস্তা দিয়েই সকলের মসজিদে নামাজ পড়া, অফিসে যাওয়া, বাজার করা, বাচ্চাদের স্কুলের যাতায়াত, মাদ্রাসায় আসা যাওয়া চলতো যা এখন সবাই তা আর করতে পারছেন না।এক চরম ভোগান্তিতে ভুগছেন মানুষ এমন টাই বলেছেন এই এলাকার পুরনো বাসিন্দা। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী পেয়ারুল ইসলাম জানান আমাদের এলাকার সামাজিক সিদ্ধান্ত ও সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী সবাই কমপক্ষে ৬ ফিট করে জমি ছেড়ে বাড়ি করতে হয় আমিও তাই করেছি। এখানকার সবাই সেভাবেই চলছি। তাতে করে ১২ ফুটের সুন্দর রাস্তা সকলের উপকারে আসে ,মানুষের চলাচলের সুবিধা হয় ও দেখতে ও ভালো লাগে। এই রাস্তাটি দীর্ঘ ২০/২৫ বছর যাবত আমরা ব্যবহার করে আসছি। এই বিষয় নিয়ে ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ও ৬৫ নং ওয়ার্ড এর জনপ্রিয় কাউন্সিলর মো: শামসুদ্দীন ভূইয়া সেন্টুর অফিসে এবং পরবর্তীতে সরেজমিনে উক্ত রাস্তা পরিদর্শন করে সেখানেই সকলের উপস্থিতিতে এটা ১২ ফুটের রাস্তা হিসাবে ঘোষণা করা হয় এরপর এখানকার সবাই মিলে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে রাস্তাটি নির্মান করি। অথচ ২৮ নভেম্বর বেলা ১২ টায় সব পরিবারের পুরুষ মানুষেরা জীবিকার তাগিদে যখন অফিসে কাজে ব্যস্ত তখন এই ফাঁকে উক্ত রাস্তার জন্য ৬ ফুট জমি না দেয়ার পায়তারায় অন্যায় ভাবে ভেকু ব্যবহার করে রাস্তাটি কেটে ফেলে আতংক সৃষ্টি করেছে। এই কথাগুলো বলার সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মো: জুলহাস উদ্দিন, মো: মোবারক হোসেন,বদরুল হায়দার চৌধুরী, আবুল হাশেম সহ আরো অনেক এলাকাবাসী। এই রাস্তা কাটার বিষয় নিয়ে সিটি করপোরেশনের কোন অনুমতি বা অনুমোদন আছে কিনা প্রশ্ন করলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ৬৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: শামসুদ্দীন ভূইয়া সেন্টু বলেন, এটা তো দীর্ঘ দিনের পুরনো রাস্তা এবং এখানকার সব রাস্তাই যার যার প্লট থেকে ৬ ফুট করে ছেড়ে ১২ ফুটের রাস্তা তৈরি করা, এই বিষয় নিয়ে আমার এখানে আগে বসা হয়েছিলো এবং আমি ও রাস্তার সমাধানে গিয়েছি এটা একটি পরিকল্পিত ১২ ফুটের রাস্তা ইতিমধ্যে আমার কাছে রাস্তা কেটে ফেলেছে বলে অনেক মুরুব্বি এসেছিলেন। আমি তাৎক্ষনিক প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে বলেছি এবং আমি নিজেও সেখানে যাবো ভেবেছি। এ বিষয়ে ডিএমপির ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন আমি গতকাল সাইনবোর্ডে ডিউটিতে ছিলাম সেই সময় জানামাত্রই সাথে সাথে জায়গাটি পরিদর্শন করি এবং এলাকাবাসীর লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেই। সাহিদুল হক জুয়েল চৌধুরী কে ফোন দিলেও তিনি কোন কল রিসিভ করেন নাই। স্থানীয় এলাকাবাসী ও যুবসমাজের একাধিক ব্যক্তি বলেন, এটা একটা অমানবিক কাজ হয়েছে । জনগণের চলাচলের এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা যেখানে অত্যাবশকীয় সেখানে এভাবে কেটে ফেলায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ ঘটেছে। সবমিলিয়ে এক থমথমে ভাব বিরাজ করছে।অতিসত্বর বিষয় টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের আমলে নেয়া জরুরী মনে করছেন অনেকেই।