বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের উপর হামলাকারী আজমেরী ওসমান দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আজমেরীর টিবয় খ্যাত বন্দরের আলোচিত ক্যাপ রোমান হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামী রাসেল শাহ ওরফে বয়রা রাসেল আবারো বেপরোয়া। নানা অপকর্মে এখনও দাবরিয়ে বেরাচ্ছে বন্দর উপজেলা কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। এমন অভিযোগ করেছেন কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। এলাকাবাসীর সুত্রমতে,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ চাষারায় স্বৈরাচার সরকার পতনের পূর্বে সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ছাত্রদের উপর গুলিবর্ষনের সময় মুকিত বাহিনীর অন্যতম সহযোগী ছিল কলাগাছিয়া গ্রামের সন্ত্রাসী রাসেল শাহ। যে কিনা আজমেরী ওসমানের টিবয় হিসেবে সবাই চিনত। আজমেরী ওসমানের প্রভাবে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি দাবী করে ওসমান পরিবারের ক্ষমতায় এলাকায় সন্ত্রাসী,চাদাবাজী,মাদক বিক্রি,ভূমি দস্যুতা,ড্রেজার দস্যুতা,অবৈধ গ্যাস চুরি সিন্ডিকেটসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াত সন্ত্রাসী রাসেল। এমন কোন অপকর্ম নেই সে করত না। কলাগাছিয়া ব্রম্মপুত্র নদের পাশে ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ট আ’লীগ নেতা মাজহারুল ইসলামের ডকইয়ার্ডে ছিল তার অবৈধ কর্মকান্ডের আতুরঘর। বিভিন্ন স্থান থেকে বলগেটের পাইপ কর্তন করে এই ডকইয়ার্ডে এনে স্ক্রাফ বানিয়ে বিক্রি করত। এছাড়াও এলাকায় আজমেরী ওসমানের নির্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্যাতনসহ পুলিশে ধরিয়ে দিত। এলাকায় ওসমানীয় প্রভাবে সন্ত্রাসের রাম রাজত্ব কায়েম করত। তার ছিল শতাধিক সদস্যের কিশোর বাহিনী। স্থানীয় প্রশাসনও সন্ত্রাসী রাসেলের ক্ষমতার প্রভাবে ছিল অসহায়। সাধারন মানুষ ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পেতনা। কলাগাছিয়ায় সন্ত্রাসী রাসেল শাহর টর্চার সেলও ছিল। যেখানে ধরে এনে বিভিন্ন লোকের কাছে চাদা দাবী করত। কথা না শুনলেই ওই নিরিহ ব্যাক্তিদের উপর নির্যাতনের খরগ নেমে আসত। সন্ত্রাসী রাসেল শাহর চাচা কলাগাছিয়া বুরুন্দী গ্রামের আ’লীগের দোসর ইটবালু ব্যবসার অন্তরালে ইয়াবা ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলামকে দিয়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন। এমন কোন অপকর্ম নেই রাসেল শাহ করেন নাই। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার প্রবল আন্দোলনের মূখে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপর আত্বগোপনে চলে যায় আজমেরী ওসমানের টিবয় রাসেল শাহ। গত ১লা ফেব্রুয়ারী বন্দরে কলাগাছিয়ায় প্রভাবশালী কতিপয় বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে গ্রামে অনুপ্রবেশ করে সন্ত্রাসী রাসেল শাহ। মোটা টাকার বিনিময়ে সে তার নিজ গ্রামে কলাগাছিয়ায় কতিপয় প্রভাবশালী নেতাদের বাগিয়ে পূর্বের ন্যায় আবারো দাবরিয়ে বেরাচ্ছে বলে জানান বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষ। এখনই এই স্বৈরাচারের দোসর সন্ত্রাসী রাসেল শাহকে গ্রেফতার না করা গেলে ছাত্র জনতার রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে বলে তারা আক্ষেপ প্রকাশ করেন। স্বৈরাচারের দোসর আজমীর ওসমানের পালিত সন্ত্রাসী রাসেল শাহর হাত থেকে পরিত্রান পেতে নারায়ণগঞ্জের জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় কলাগাছিয়াবাসী।