তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃসিলেটে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাকর্মীদের ওপর নারকীয় হামলা, অগ্নিসংযোগ, এম্বুলেন্স, জরুরি বিভাগ ভাঙচুর সহ অন্যান্য সরকারী স্থাপনা ভা’ঙচুর ও বিনষ্টকরণের প্রতিবাদে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ২২ শে জানুয়ারি সোমবার সাড়ে ১২টায় থেকে প্রায় আধা ঘণ্টা বি’ক্ষোভ মিছিল ও মানবব’ন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের নেতৃত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ অনুপম কান্তি ঠাকুর, ডাঃ একেএম লতিফুল আলম খান, ডাঃ জাকির হোসাইন, ডাঃ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ, ডাঃ তন্ময় সাহা, ডাঃ অনুপম কুমার দাস, ডাঃ মাহমুদুল হাসান মাসুম, ডাঃ তানজিলা জান্নাত, ডাঃ সুমি আক্তার প্রমূখ। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র হাসপাতালের প্রধান সহকারী মোঃ সাইদুজ্জামান সাঈদ, নার্স সুপারভাইজার রাখী সায়মা সহ অত্র হাসপাতালের সকল স্টাফ, স্বেচ্ছাসেবক ও সাংবাদিকবৃন্দ।
ফুলপুর হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীর উক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দু’চোখে অশ্রু নিয়ে বক্তব্যে বলেন আমরা জনগণকে সেবা দিতে বসেছি, জনগণকে সেবা দিতে গিয়ে কেন সন্ত্রা’সীদের হামলা শিকারে পড়তে হয় আমাদের ? জীবনের কী কোন মূল্য নেই! আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে ? আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই সরকারের কাছে। বারবার এরকম ঘটনা ঘটছে বিভিন্ন হাসপাতালে। ডাক্তারসহ কর্মরত সকলের নিরাপত্তা চাই আমরা। এছাড়া উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি । বিষয়টি নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আড়াই থেকে তিনশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি শনিবার মধ্যরাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো সালাউদ্দিন মিয়া বাদী হয়ে এই মামলা করেন। উল্লেখ, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের ৪ নম্বর বাংলাবাজার রাংপানি এলাকায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে চার ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। তাদের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখান থেকে আহতদের সিলেটে আনতে অ্যাম্বুলেন্স চেয়ে না পেয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে মধ্যরাতে উত্তেজিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয় একটি অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের আসবাবপত্র এবং জরুরি বিভাগের বিভিন্ন সরঞ্জাম। আগুন দেওয়া হয় একটি সরকারি জিপে। পরে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনলে চার জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।