বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন কয়লাঘাট ও ফেরীঘাটে ফয়সাল ও সম্রাট কাশেমের বিরুদ্ধে জোর পূর্বক চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় ঘাটটির বৈধ ইজারাদার তাইজুদ্দিন আহমেদ বিআইডব্লিউটিএ’র বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন কয়লাঘাট ফেরীঘাট ও শুল্ক পয়েন্টটি ২০২৩-২০২৪ অর্থ বৎসরের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে ১৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় ইজারা পান তাইজুদ্দিন আহমেদ, কিন্তু স্থানীয় মৃত দৌলত মেম্বারের ছেলে সন্ত্রাসী ফয়সাল ও সম্রাট কাশেম তার লোকজন দিয়ে বৈধ ইজারাদার তাইজুদ্দিন আহমেদকে শুল্ক আদায় করতে বাধা দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে ইজারাদার বিআইডব্লিউটিএ’র বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। ইজারাদার জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন কয়লাঘাট ফেরীঘাট ও শুল্ক পয়েন্টটি টেন্ডারের মাধ্যমে ১-০৭-২৩ হতে ৩০-০৬-২৪ সাল পর্যন্ত সরকারি ভ্যাট ও ভ্যাট আয়কর দিয়ে সর্বোচ্চ ১৪ লাখ ৮৭ হাজার টাকায় ইজারা প্রাপ্ত হই, কিন্তু ফয়সাল ও কাশেম টেন্ডার না পাওয়ায় তাদের নেতৃত্বে আমার পার্টনার সোহেল ও আকবরকে তিন মাস যাবৎ শুল্ক আদায় করতে দিচ্ছে না, কিন্তু তারা ভুয়া রশিদের মাধ্যমে প্রতিটি বাল্কহেড থেকে ১২০০/১৪০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে যা সম্পন্ন বেআইনী, তিনি আরও জানান, আমি বৈধ ইজারাদার, আমার টোল আদায়ের রশিদ রয়েছে, ওই রদিশে বিআইডব্লিউটিএ’র সীমানা নির্ধারণ করাও রয়েছে, বৈধভাবে কয়লাঘাট, পূবালী আয়োডিন সল্ট হতে শুরু করে প্রিমিয়াম সিমেন্ট শেষ হয়ে দক্ষিণের সীমানা পর্যন্ত বালুবাহী বাল্কহেড ও মেমোরি বাল্কহেড সিমেন্টের বস্তা এবং মালামালের শুল্ক আদায় ও বাদিং চার্জ পয়েন্ট, যা আমার রশিদে উল্লেখ করা হয়েছে, অথচ ফয়সাল ও সম্রাট কাশেম টেন্ডার না পাওয়ায় তারা নিজেরাই সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের টোল আদায়ে বাধা দিয়ে তারাই চাঁদা আদায় করে, আমরা শুল্ক আদায় করতে গেলে তাদের নেতৃত্বে আমাদের উপর ইট ও পাথর নিক্ষেপ করে, ওই সময়ে দুইজন লোক আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও সদর নৌ-থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এবিষয়ে ফয়সাল অস্বীকার করে বলেন আমি কোন চাঁদা কালেকশন করিনা। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী।