বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনায় এসেছে জাতীয় পার্টি। দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ভারত সফর ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দলটিকে নিয়ে রাজনীতির ময়দানে নতুন তৎপরতা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি দেখা গেছে, জিএম কাদের ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাথে একাধিক বৈঠক যেমন করেছেন, তেমনি ভারত সফরে গিয়ে বিভিন্ন মহলে বৈঠক করেছেন। দলটির একাধিক সিনিয়র নেতারা বলেছেন নির্বাচন আসলেই জাতীয় পার্টিতে এ ধরণের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এটিকে তারা ‘নতুন খেলা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই মনে করেন, ২০১৪ সালে জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়ার পেছনে ভারতের চাপ ছিল। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ দেশের ভেতরে রাজনৈতিক সুবিধা পেয়েছিল। আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে থাকবে নাকি বিএনপির সাথে থাকবে, এনিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ, নির্বাচন আসলেই এগুলো হয় আমাদের দলকে ঘিরে। জাতীয় পার্টি বিএনপির দিকে যাবে নাকি আওয়ামী লীগের সাথেই থাকবে, নাকি একাই নির্বাচন করবে এমন নানা কিছু, এবারও সেটা হচ্ছে, তবে দল নিজের মতো করেই সিদ্ধান্ত নেবে দলীয় হাইকমান্ড সুত্রে জানাযায়। সুত্রে আরও জানাযায়,২০১৪ সালের নির্বাচনের পর রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টির বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। কারণ তারা একই সাথে সরকারের অংশ ছিল এবং সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসেছে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এটি একটি বিরল ঘটনা। তবে জাতীয় পার্টির ত্যাগি নেতা কর্মীরা তিন’শ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জোরালো দাবি উঠেছে। এছাড়াও জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ দলের অস্তিত্বর প্রশ্নে সবাইকে ঐকবদ্ধ থাকার গুরুত্ব দিচ্ছে। এ জন্য জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বিরোধী দলীয় উপনেতা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের পছন্দের ব্যাক্তি জিএম কাদের এমপি দলটির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত এইচএম এরশাদের জাতীয় পার্টির এবারের লক্ষ্য হলো-দলকে টিকিয়ে রাখতে যা করা দরকার তাই করবে জিএম কাদের এমপি। এদিকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে চট্টগ্রাম ১২ পটিয়া আসনে নির্বাচন করতে চায় পটিয়া উপজেলা জাতীয় পার্টি সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী সমাজ সেবক ফয়জুল কবির চৌধুরী টিটু। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চাইব, দল আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি সর্বস্ব উজাড় করে নির্বাচনে বিজয় হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাব, আল্লাহ চাইলে আমি বিজয় হতে পারব, তবে তিনি অবাদ সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করেন এবং তিনি পটিয়াবাসীর কাছে দোয়া ও আশীর্বাদ কামনা করেন।