
সাইদুজ্জামান রেজা,পঞ্চগড়ঃপঞ্চগড় সদর উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কাঁচা রাস্তা, স্কুল মাঠ সংস্কার প্রকল্পের লক্ষ লক্ষ টাকা উন্নয়নের নামে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
প্রকল্পে জড়িত থাকা সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে, এর সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন প্রকল্প সভাপতি ও স্থানীয়রা।
জানা যায়,২০২২-২৩ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ টিআর কর্মসূচির আওতায় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নে দেড় লাখ টাকা বরাদ্দে মাধইপাড়া হবি পাইকারের বাড়ি হতে পূর্বদিকে মনছুরের বাড়ি হয়ে পাঁকা রাস্তা পর্যন্ত সংস্কার, চাকলাহাট ইউনিয়নে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৬২ টাকা বরাদ্দে মেহেরপাড়া শুকুরুর বাড়ি হতে পশ্চিমে রুবেলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার,পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নে ১ লাখ টাকা বরাদ্দে বলেয়াপাড়া জালাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার, ২ লাখ টাকা বরাদ্দে আইয়ুব মুন্সির বাড়ি হতে গোফাপাড়া শুরু পর্যন্ত রাস্তাটি উঁচু করন, ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের হবিবরের বাড়ি হয়ে পূর্ব পাশে ত্রানের বীজ হয়ে পূর্ব গোয়ালপাড়া। সম্প্রতি গত দুইদিন সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এসব প্রকল্পের কাজ কোনকিছুই না করে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।শুধু তাই নয় প্রকল্প সভাপতিরা জানেননা তাদের নামে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ভুয়া প্রকল্প সাজিয়ে রাস্তা সংস্কার না করেই অর্থ আত্মসাত করেছে দফতরটি কর্মকর্তা-কর্মচারী।প্রকল্পের কাজ না করেই অর্থ উত্তোলন করে তারা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে দাবী তাদের।
মেহেরপাড়া থেকে রুবেলের বাড়ি রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের সভাপতি মো.রাসেল জানান,এ প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।একই কথা বলেন, মাধইপাড়া-মনছুরের বাড়ি প্রকল্পের সভাপতি আব্দুল হামিদ, গোয়ালপাড়া হবিবরের বাড়ি হতে পুর্ব পাশ প্রকল্পের সভাপতি আ়ব্বাস আলী তিনি না জানলেও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয়ের কার্য সহকারী আবু হানিফ ওই এলাকার সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের স্বামীকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কোনমতে কাজটি করে নেয়। তবে আবু হানিফ প্রকল্পের সভাপতি আব্বাস আলী এটা স্বীকার করেন।
জালাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিবুল ইসলাম স্কুল মাঠ সংস্কার প্রকল্পের বিষয়ে কিছুই জানেননা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.জিয়াউর রহমান জানান,প্রকল্পের কয়েকটি স্ক্রীম আছে যা এখনো কাজ হয়নি।বরাদ্দের টাকাটা যেন ফেরত না যায়, সেটা উত্তোলন করে নির্বাহী অফিসারসহ যৌথ হিসাব নম্বরে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.জাকির হোসেন জানান,আমি নতুন যোগদান করেছি, এ বিষয়ে কিছু জানিনা। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব।