রাফসান লাবিব সিয়াম:বিগত কয়েক মাস পূর্বে মারিয়া জাহান নামক জৈনিক মহিলা সাবেক সংসদ জনাব এইচ এম গোলাম রেজা সাহেবের সেনপাড়া পর্বতাস্থ ১৫৯/A ফ্লাটে ভাড়াটিয়া হয়ে প্রবেশ করে। কিন্তু ফ্লাটে ওঠার পর মারিয়া জাহান এলাকার জালাল, টিপু সহ কয়েজনের সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করে এবং এলাকার নেতাদের নাম ভাঙিয়ে উক্ত ফ্লাটের মালিকানা দাবী করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাতে থাকে। ঘটনায় পুলিশ উপস্থিত হয়ে মারিয়া জাহানের কাছে মালিকানা বিষয়ক কাগজপত্র দেখতে চাইলে সে কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি৷ তখন পুলিস তাদের প্রতারণা সম্বন্ধে অবহিত হয়ে থানায় মামলা গ্রহণ করে৷ মামলা নম্বর ২৩ GR-৩১১। উক্ত আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে সরকারি দলের নেতাদের নাম ব্যাবহার করে, সন্ত্রাসীদের সাহায্যে প্রতারণার মাধ্যমে টাকাপয়সা আদায় করার বহু চেষ্টা চালায়৷ কিন্তু তাদের এই চক্র সম্পর্কে প্রশাসন জানতে পারলে প্রতারক সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ উল্লেখ্য যে, এই সন্ত্রাসী চক্রটি অনেক বছর যাবৎ খোদ রাজধানীর গুলশান বনানী, বাড্ডা, বাসাবো সহ বিভিন্ন এলাকায় একই পদ্ধতিতে বাসা ভাড়া নিয়ে পরবর্তীতে মালিকানা দাবী করে অসহায় বাড়ি মালিকের থেকে টাকা আদায়ের কার্যকলাপ চালিয়ে আসছে। প্রতারক চক্রের সদস্যরা শীর্ষ সন্ত্রাসী সিরাজুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ঢাকা শহর সহ সমগ্র বাংলাদেশে অভিনব কৌশলে চেতনানাশক স্প্রে ব্যাবহার করে মানুষকে অজ্ঞান করে বাড়ির টাকা, স্বর্ণালংকার, সঞ্চয়পত্র, বিশেষ করে বাড়ির দলিলপত্র হাতিয়ে নিয়ে মানুষকে সর্বশান্ত করে আসছিলো৷ চক্রের সদস্য মারিয়া জাহান, সিরাজুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, তহমিনা সহ বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে দুই শত এর অধিক মামলা বিচারাধীন আছে৷ প্রতারক চক্রের সদস্যরা ইতিপূর্বে বিগত ২৪-০৭-২০১৯ তারিখে সাবেক সংসদ জনাব এইচ এম গোলাম রেজা সাহেবের বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে ব্যাবহার করে তার স্ত্রী ও মেয়েকে অজ্ঞান করে টাকা, স্বর্ণালংকার, প্রইজবন্ড, ঘড়ি সহ ৭ কোটি টাকার মালামাল লুট করে নেয়। উক্ত ঘটনায় পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দেয়। বিগত ১৮-০৭-২০২৩ তারিখে প্রতারণা চক্রটি মানিকগঞ্জে এক প্রশাসনিক কর্মকর্তার বাড়িতে চেতনানাশক স্প্রে ব্যাবহার করে নাশকতা চালানোর সময় স্থানীয় মানুষ কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে এবং চক্রটির হোতা সিরাজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হয়৷ তবে চক্রের মহিলা সদস্যরা অভিনব কায়দায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে চক্রটি মারিয়া জাহান এর নেতৃত্বে পুনরায় সংগঠিত হয় এবং ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকার বিভিন্ন নাইট ক্লাবে মদ, ইয়াবা সহ মাদকদ্রব্য পাচার কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। এই ধরণের ঘৃণ্য চক্রের কাছে সাধারণ মানুষ আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে৷ এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য প্রশাসন এর নিকটে অনুরোধ জানাচ্ছি।