মহিদুল ইসলাম (শাহীন) খুলনা থেকে,অনেক চড়াই উৎরাই পার করে অবশেষে খুলনা-৫ আসনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা—৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেনের প্রার্থীতা হাইকোর্টেও বাতিল হলেও চেম্বার জজ আদালতে তিনি তার প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে তার প্রার্থীতা বাতিল করে চেম্বার জজের রায়ে মনোনয়নের বৈধতা পান শেখ আকরাম হোসেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। খুলনা জেলার রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন তার মনোনয়ন বাতিল করেন। প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে তিনি আপিল করেন। সেখানেও তার প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। পরে প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টে তার রিট পিটিশন নম্বর ছিল ১৬২৪১। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি মোঃ বশির উল্লাহ’র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে তার দীর্ঘ শুনানী শেষে তার প্রার্থীতা বাতিল করলেও চেম্বার জজ আদালতে তিনি তার প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন । খুলনা -৫ আসনের জনগনের কল্যানে কাজ করার জন্য অনেক ধৈর্য্য ও অদম্য ইচ্ছা শক্তি নিয়ে চেষ্টা করে অবশেষে প্রার্থীতা ফিরে পেলেন আলহাজ্ব শেখ আকরাম হোসেন। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় স্থানীয় জনগণের মধ্য আনন্দের জোয়ার বয়ে চলেছে। স্থানীয় জনগণ সংবাদ পাওয়া মাত্রই খুশিতে মিছিল দিতে থাকে। ফলে খুলনা—৫ আসনে বর্তমানে ৪ জন প্রার্থী রয়েছেন এখন নির্বাচনী মাঠে। এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী বর্তমান সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ও শেখ আকরাম হোসেন এর তুমুল ভোটযুদ্ধ হবে এবং পরিবর্তন এর ছোঁয়া লাগতে পারে বলে স্থানীয় জনগন জানিয়েছে। প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে আগামীকাল গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে ও বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করে নিজ এলাকায় ফিরবেন।