প্রেস বিজ্ঞপ্তি: নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন শাসনগাঁও বিসিক এলাকায় নিজ বাস ভবনে ২২ অক্টেবর রবিবার দুপুর ১২ টায় হাজী আলমাস দেওয়ান’র পুত্র মোঃ ইমরান দেওয়ান (৩৩) সংবাদ সংন্মেলনে আক্ষেপ করে বলেন- ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী ইউনিয়নের চর রাজাপুর আমাদের খরিদকৃত ১৭ শতাংশ ভূমিতে নির্মিত দেওয়ান ষ্টীল বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং লিঃ। ও-ই প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে স্থানীয় চিহ্নিত চাঁদাবাজ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র কিছু দিন আগে আমাদের বাড়ীতে এসে ১ কোটি টাকা দাবী করে। চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের এ অনৈতিক দাবী পূরণ না করায় সন্ত্রাসীরা সংঘবদ্ধ হয়ে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করিয়া প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রাংশ ও মালামাল লুটপাট করিয়া নিয়া যায়। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫/৪০ লক্ষ টাকা হইবে বলিয়া সাংবাদিক সম্মেলনে মোঃ ইমরান দেওয়ান দাবী করেন। সন্ত্রাসীরা প্রতিষ্ঠানটি ভাংচুর ও লুটপাট করিয়া থেমে নেই। সন্ত্রাসীরা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক ইমরান’র প্রতিষ্ঠানের প্রবেশ পথের সামনে দেয়াল নির্মান করিয়া গতিপথ রোধ করিয়া দেন। চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বারংবার পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলেও কোন ধরনের সহযোগীতা না পেয়ে অসহায় ও নিরূপায় হয়ে সন্ত্রাসীদের দ্বারা প্রাণে আক্রমনের ভয়ে স্থবির হয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের কাছে লিখিত বক্তব্যে বলেন- গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাত্র ৯.৩০ মিনিটে উওর নরশিংপুর এলাকার গিয়াস উদ্দিন’র পুত্র সুমন (৩৯), চর রাজাপুর বক্তাবলী এলাকার শাহিন (৪২), চাঁদনী হাউজিং এর মৃত আব্দুল গফুর’র পুত্র হামিদ প্রধান (৪৮), ইসদাইর বুড়ী দোকানের নাসির (৪০), মাসদাইর দাতা সড়কের মৃত রোস্তম আলী’র পুত্র পিজ্জা শামীম (৫৫), শাসনগাঁও এলাকার নান্নু মিয়ার পুত্র মুন্না (৩২), হারুন মিয়া’র পুত্র সজিব (৩০), মুসলিম নগরের মৃত আলী আকবর বেপারী’র পুত্র সাদ্দাম বেপারী (৩০), নবীনগরের শাহিন দর্জির পুত্র ইমরান দর্জি (৩১) সহ সঙ্গীয় অজ্ঞাত নামা আরও ২০/২৫ জন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী চক্র সংঘবদ্ধ হইয়া দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বসত বাড়িতে আসিয়া অনৈতিকভাবে ১০০০০০০০ (এক কোটি) টাকা চাঁদা দাবী করে। এবং তারা এই বলিয়া হুমকী দেয় দাবীকৃত টাকা না দিলে আমাদের ক্রয়কৃত ১৭ শতাংশ জমিতে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান দেওয়ান স্টিল বিল্ডিং দখল করে নিবে এমনকি আমি কোন বাঁধা প্রদান করিলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকী দেয়। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করিলেও কোন প্রতিকার পাইনি। বরং সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে গত ১৯ অক্টোবর দুপুর ৩.৩০ মিনিটে আমার প্রতিষ্ঠানে অস্ত্র হাতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ফ্যাক্টরির ভাড়াটিয়া ও শ্রমিকদের মারধর করে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে জরুরী যন্ত্রাংশ ও বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে। যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩৫/৪০ লক্ষ টাকা। মালামাল লুটপাটের পর ইটা, বালু, সিমেন্ট নিয়ে এসে আমার প্রতিষ্ঠানের সামনে দেয়াল নির্মাণ করিতে থাকে। তাদের এ কার্যকলাপ দেখে তাৎক্ষনিক ৯৯৯ এ কল করিয়া আইনের সহযোগিতা কামনা করি। কিন্তু কোন সহযোগিতা পাইনি তাই নিরুপায় হয়ে ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগে পুলিশ এলেও সন্ত্রাসীরা কাজ বন্ধ না করে তারা দেয়াল নির্মাণ করে আমাদের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেয়। থানায় কোন প্রতিকার না পেয়ে ৯ ও ২১ অক্টেবর দুইবার নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর এবং ১১ অক্টেবর র্যাব-১১ বরাবর লিখিত অভিযোগ করি। কিন্তু অদ্যবদী আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট কোন ধরনের সহযোগীতা পাচ্ছি না। তাই গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে আমি আমার ফ্যাক্টরি, জায়গা ও প্রাণের নিরাপত্তা চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এবং স্থানীয় প্রশাসনের আইনী সাহায্য কামনা করছি।