ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক :পার্বত্য জেলার বান্দরবানের লামায় ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে দুই’ঘণ্টার দমকা হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপজেলায় ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সিডর ও মোখার চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচশত কাছাকাছি কাঁচাঘর ভেঙে গেছে। ঘেরাবেড়া, গাছপালা উপড়ে গেছে। একাধিক বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে গিয়ে ও গাছ পড়ে সর্বত্র সঞ্চালন তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে এই উপজেলা। ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বেশিরভাগ এলাকায় একেবারে নেই, কোথাও থাকলেও এই আছে এই নেই অবস্থা। সড়কের উপর উপড়ে পড়া গাছ পড়ে থাকায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি সচল হয়নি। মুরগী ফার্ম ও ধান-সব্জির ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। ফাইতং ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট অত্যাধিক ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত দেলোয়ার হোসেন ও মোফাজ্জেল বলেন, খেদারবান, সুতাবাদী পাড়া বিভিন্ন পাহাড় নদী-খাল থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যায় আমন ধান, সবজি, কলা, পেঁপে, শাক-সবজিসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। আমন ধান ও কয়েক মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদনে ক্ষতি হয়।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, চকরিয়া -লামায় পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। চালু করতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
লামায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, রাত ৯টা থেকে ১০-১১টা পর্যন্ত দুই’ঘণ্টার দমকা হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ক্ষতি বিবরণ লিখিত দিতে। সরকারি অফিসারদের নিয়ে গঠিত একাধিক টিমও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে।