তপু রায়হান রাব্বি ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাতিকুঁড়া গ্রামে অবস্থিত একটি সুইজগেট(ব্রিজ) জন পথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উপকৃত হলেও, কৃষকের স্বপ্ন পূরণে মুখে হাসি ফোটানোর বদলে এনে দিল দুঃখ ও দুর্দশা। অত্র এলাকা থেকে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ডেফুলিয়া টু বাতিকুঁড়া রাস্তায় অবস্থিত এই সুইজ ব্রিজটি কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলা চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়েছিলো। তবে সুইজগেটির সুরঙ্গ ছোট হওয়ায় ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপক। গত ২০১৩ইং সালে প্রায় ৬ লক্ষ ব্যয়ে নির্মিত সুইজগেটটির কাজ শেষ হয় ২০১৫ইং সালে। এতে জনগণের যোগাযোগ ব্যবস্থার উপকৃত হলেও প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের। এ কালভার্টে অবস্থিত সুইজগেটের সাথে সংযোগ রয়েছে কয়েকটি নদী ও খাল বিলে পানি নিষ্কাশনের বা চলাচলের। সরচাপুর নদী, ডেঁফুলিয়া নদী, কংশ নদী, এই কয়েকটি নদীর সহ খাল বিলের পানি প্রবাহিত হয় বাতিকুঁড়া এ সুইজব্রিজ(গেট) দিয়ে। পানি যাওয়ার সুরঙ্গ ছোট হওয়ার কারণে পানি জমে থাকে দীর্ঘদিন। এতে পানিতে তলিয়ে যায় আমন ধানের ফসলি জমি । স্থানীয় কৃষকরা জানান পানি জমে থাকার কারণেই ব্রিজের আশপাশে কয়েক এলাকার আবাদি জমির ধান নষ্ট হয়ে যায়। প্রতি বছর কষ্টের ফসলের লাভের স্বপ্ন দেখলেও পানিতে তলিয়ে যায় সব স্বপ্ন। কৃষকরা মনে খুভ নিয়ে বলেন অপরিকল্পিত ভাবে স্থাপিত উক্ত সুইজগেট বা ব্রিজটি যেন এখন স্বপ্ন ধ্বংস করার ফাঁদে পরিণত হলো। এ তো ব্রিজ করে দিলো না, আমাদের কপাল পুড়লো। আরো বলেন, ব্রিজটি সুইজ সিস্টেম হওয়ার কারণেই আমন চাষে এই দুর্দশা। এ ব্রিজ হওয়ার পর থেকে এক মুঠো ধান ঘরে তোলার আশা নেই আমাদের। অত্র এলাকার জাহাঙ্গীর জানান, সুইজব্রিজের বাড়তি অংশটুকু কেটে দিলেই পানি যাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা হয়ে যায়। আশপাশের ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বলে মনে করি। এ নিয়ে স্থানীয়রা বার বার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রকৌশলীদের কাছে অভিযোগ করেও মিলেনি এর কোনো প্রতিকার। ব্রিজের কারণেই কষ্টের প্রহর গুনতে হচ্ছে এই এলাকার চাষীদের।