বিএনপি ডাকা অবরোধের সময় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বন্দর স্ট্রীল মিলের সামনে ২টি পিকআপ ভ্যানে অগ্নিসংযোগ ও হরতাল সর্মথনে মদনপুর টু মদনগঞ্জ সড়কের ফুললহর এলাকায় ককটেল বিষ্ফোরণ ও যানবাহন ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় আরো ১৪ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আরো ৭ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাতে বন্দরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক ফয়েজ আহাম্মেদ ও কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আল ইসলাম বাদী হয়ে বন্দর থানায় উল্লেখিত পৃথক ২টি মামলা রুজু করেন। ধৃতরা হচ্ছে বন্দর উপজেলার হাজরাদী এলাকার আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে দিদার হোসেন (৪৩) বন্দর উপজেলার ফুনকুল এলাকার সাদেক আলী মিয়ার ছেলে আজিম আহাম্মেদ (৩৯) বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার মৃত আলকাস সরদারের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৮) নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে মুসা (৪৩) একরামপুর এলাকার মৃত মোতালেব হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩০) বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন (৪০) ও বন্দর সিএসডি গেইট এলাকার মৃত রহিম বেপারী ছেলে মানিক (৩৮),একরামপুর ইস্পাহানী বড় জামে মসজিদ এলাকার আব্দুল করিম মিয়ার ছেলে মামুন (৩৯) নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ মিয়ার ছেলে সালাম (৪২) একই এলাকার মৃত সিদ্দিক বেপারী ছেলে মিন্টু (৪০) বক্তারকান্দী এলাকার মৃত সাইজুদ্দিন মিয়ার ছেলে রফিজ উদ্দিন (৬৫) মালিবাগ মৃত ফজলুল হকের ছেলে আক্তার হোসেন (৪২) দেওলী এলাকার আমিনুল পলাশ (৩৮) ও নয়ানগর এলাকার খলিল মেম্বারের ছেলে উজ্জল (৩৮)। পুলিশ জানিয়েছে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ডাকা হরতালে বন্দরের ফুলহর এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুর করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও ১লা নভেম্বর অবরোধ চলাকালে বন্দর ঢাকা টু চট্রগ্রাম মহাসড়কের বন্দর স্ট্রিল মিল এলাকায় দুটি পিকআপ ভ্যানের অগ্নিসংযোগ ও যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।