বন্দর প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের বন্দর রূপালীতে অবৈধ গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযানের পর আবারও অবৈধ সংযোগ দেওয়া শুরু হয়েছে। অবাধে চলছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ। অভিযোগ রয়েছে, বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর ইনচার্জ রেজাউল করিমকে অর্থের বিনিময়ে হাত করে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে থাকে। এতে একদিকে যেমন সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব এবং বৈধ গ্রাহকরাও বিল দিয়েও পাচ্ছেনা গ্যাস। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্দর রূপালী আবাসিক এলাকায় ৫তলার বিশিষ্ট ভবনের মালিক ইকবাল। তার বাড়িতে এর আগে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস লাইন দেয়ার অপরাধে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এবং লাইজার জব্দ করে নিয়ে যায়। এর পাশে নতুন করে আবারও সংযোগ দেয়া হয়েছে। ওই সংযোগ থেকে ১ লক্ষ টাকা নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিরাতেই গ্যাস ইসলাম, নিজাম ও পিয়েল রূপালী এলাকায় বাসা বাড়িতে অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ দিয়ে থাকে। এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগে প্রতিটি বাড়ির মালিকের নিকট থেকে ৬০-৮০ হাজার টাকা নিচ্ছেন। স্থানীয়রা আরো জানান, প্রতিদিন রাত ১২ টার পর থেকে ভোর পর্যন্ত কয়েকজন মিস্ত্রি ও দালাল তাদের নিজস্ব মেশিনারিজ যন্ত্রপাতি দিয়ে এলাকায় অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ দিচ্ছেন। এদিকে গেলো বছরের ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন এর নেতেৃত্বে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বন্দর থানার ২১নং ওয়ার্ডের রূপালী আবাসিক এলাকায় ২ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। ওই সময়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেওয়ার অপরাধে রূপালী আবাসিক এলাকার ২০ জন বাড়িওয়ালার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানাসহ অবৈধ গ্যাস সংযোগে কাজে ব্যবহারকৃত বিপুল পরিমান লাইজার জব্দ করে। কিন্তু এর পর থেকেই দেখা যায় ওই সকল অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগ গুলো দেয়া শুরু হয়েছে। এবিষয়ে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর ইনচার্জ রেজাউল করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।