![](https://shikkhatotthow.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: মাদক বিরোধী অভিযানের সময় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়িতে ট্যাংক লরি শ্রমিক ও র্যাব সদস্যদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ট্যাংক লরি শ্রমিকরা র্যাব সদস্যদের ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে, এসময় বেশ কয়েকজন ট্যাংকলরি শ্রমিক আহত হয়েছে বলে শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা গেছে। বুধবার (৬ই ডিসেম্বর’) বেলা ১১টায় শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়িতে অবস্থিত ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন সংলগ্ন বড়াল সেতুর নিচে র্যাবের মাদক বিরোধী অভিযানে ৪ কেজি ৩০ গ্রাম গাজা ও ১ লিটার ৩৪০ মিঃলিঃ চোলাই মদ সহ ৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কৃত আসামিরা- সৌরভ আহমেদ সবুজ (২৭), মো. সেলিম (৩২), মো. গোফরান শেখ (৩১) ও মো. রিয়াজ (৫৩) পরে সাথে ট্যাংকলরি শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, এসময় বেশকয়েকজন শ্রমিক আহত হয়। সংঘর্ষের পর ট্যাংলরি শ্রমিকরা র্যাব সদস্যরা অবরুদ্ধ করে এবং ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর চালায়। উত্তেজিত শ্রমিকরা বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় ফলে মহাসড়কের ২ দিকে যাববাহন আটটে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান, শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান ও শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাসার বিপুল সংখ্যাক পুলিশ সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে র্যাব-১২ এর উপ-অধিনাক মো. সাদিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন, এসময় উত্তরবঙ্গ ট্যাংক লরি শ্রমিক ভবনে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। উভয় পক্ষ ট্যাংকলরি শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে উত্তেজনার অবসান ঘটান। উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শ্রমিক ও র্যাব সদস্যদের মাঝে একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় প্রশাসন ও র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে আমরা উত্তেজনার সমাধান করেছি।’
র্যাব-১২ এর উপ-অধিনায়ক মো. সাদিক সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল যে দীর্ঘদিন যাবত বড়াল সেতুর নিচে জুয়া ও মাদক বিক্রি হচ্ছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর একটি দল মাদক ও জুয়া বিরোধী অভিযান চলার সময় ট্যাংকলরি শ্রমিকদের সাথে একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে’। তিনি আরও বলেন, উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতির অবসান ঘটানো হয়।