স্টাফ রিপোর্টার ঃ স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জের বাপ পুত আসামী হলেও প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছে। পুলিশের নিস্ক্রিয়তায় অপরাধী বাপ সেন্টু ও পুত সানমুন এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী। জানা যায়, সারাদেশ ব্যাপী ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র চলাকালীন অবস্থায় বিগত ২০২৪ সালে ১৯ জুলাই চাষাড়া গোল চত্বরে বাদী নুরুজ্জামানের ছেলে আপন ও তার ছেলের বন্ধু আদিলুর রহমান আদিল চাষাড়া গোল চত্বর থেকে এসবি নীট কম্পোজিট গার্মেন্টস এর সামনে পৌছলে দুপুর ১ টায় স্বৈরাচারের আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের রাজনৈতিক সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি চালায় এ সময় অনেকেই আহত এবং নিহত হয়। নিহতের ঘটনায় ফতুল্লার কায়েমপুরের হাবিবুল্লাহর ছেলে মোঃ নুরুজ্জামান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ২৯ আগষ্ট একটি হত্যা মামলা রুজু করে। মামলা নং-৩৪। ধারা ঃ ১৪৭, ১৪৮, ৪৪৯, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৬, ৩০২, ১১৪/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত মামলায় গোদনাইলের পুরাতন আইলপাড়ার মৃত চান মিয়ার কুখ্যাত ছেলে মোঃ সেন্টু ও তার অপরাধী পুত্র মোঃ সানমুন সহ প্রায় ২ শতাধিকের উপরে আসামী করা হয়। বর্তমানে এলাকার কীট পতঙ্গ ও কিশোর গাংয়ের লিডার সানমুন বয়সে তরুন হওয়ায় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে। তার রয়েছে একটি হুন্ডা বাহিনী। আর এই বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় গুন্ডাগিরি করে চলে। সানমুনের বাবা সেন্টু এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ নারী লিপ্সু হিসেবে পরিচিত। এলাকার অধিকাংশ নারী তার ইভটিজিংয়ের শিকার। বন্দর নবীগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর ও জাতীয় পার্টির নেতা আফজালের আশির্বাদে বিভিন্ন জায়গায় আকাম কুকাম করে বেড়ায় এবং পার পেয়ে যায় বিগত আওয়ামী ও ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে। এখনও এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে বাপ পুত ভুমিদস্যুতাসহ দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় কারো সাথে কিছু হলে সানমুন তার হুন্ডা বাহিনী গিয়ে অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এলাকাবাসী জানায় আওয়ামী সরকারের আমলে কুরবানী ঈদের সময় স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ডিএইচ বাবুলকে প্রকাশ্যে অপমান অপদস্থ করে সানমুন। লোক মুখে শোনা যায় বাবুলকে ঠাডাইয়া একটা চরও মারছিল এই সানমুন। এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ অরাজকতা করছে বাপ পুত মিলে কিন্তু দেখার কেউ নেই, বলারও কেউ নেই। স্থানীয় এক বিএনপি নেতা জানান ডিএইচ বাবুলকে লাঞ্ছিত করার কারণেই হয়তো বাপ পুত এই বৈষম্যবিরোধী মামলা খেয়েছে। আরো অনেকেই জানান আইলপাড়া, পাঠানটুলী, এনায়েতনগর ও জেলেপাড়া পুল এলাকায় বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলার অনেক আসামী রয়েছে। কিন্তু পুলিশী অভিযান না থাকায় প্রকাশ্যেই ঘোরাফেরা করে উল্টো ঐ স্বৈরাচারি কায়দায় এখনও মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে যাচ্ছে। সেন্টুর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুতাৃ সহ আরো বিষ্ফোরক মামলাও রয়েছে। এলাকার জঞ্জাল হিসাবে নারী লিপ্সু সেন্টু ও কিশোর গ্যাংয়ের লিডার চোর বাটপারদের নেতা সানমুনকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে এলাকাবাসী।