
এই বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু জানান, জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে তালিকা থেকে নাম বাদ দেয়া এবং তালিকাভুক্ত ভিক্ষুকদের টাকা না পাওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন। সঠিক তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি বাদ দেয়া ভাতাভোগীদের ফের অন্তর্ভুক্ত করা এবং ভিক্ষুকদের টাকা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান তিনি। ভিক্ষুক এবং ভাতাভোগী অনেক জীবিত ব্যক্তিদের মৃত দেখিয়ে নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ মৌখিকভাবে পাওয়ার কথা স্বীকার করে উলিপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, ‘এই বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করব। সব অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘সময়মতো অনলাইনে নিবন্ধন করতে না পারায় অনেকের তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়ে পরিবর্তন হয়েছে। এ ছাড়া ভিক্ষুকদের টাকা না পাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিদের মিটিং করে তালিকা করার পরেই টাকা বিতরণের আগেই আমি অন্যত্র বদলি হয়ে যাই। অনুসন্ধানে দেখা যায়, মশিউর রহমান ২০১৯ সালের ১ জুলাই কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় প্রথম যোগদান করেন। পরে তিনি ২০২১ সালে মাদকসহ রংপুর র্যাব-১৩-এর হাতে আটক হলে তাকে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর বরখাস্ত করা হয়। পরে ২০২২ সালের ২১ জুন তিনি স্বপদে আবারও দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ওই বছরের ১৪ নভেম্বর বদলি হয়ে গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলায় চলে যান।