নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বাজিতা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় মহান বিজয় দিবসে সুপারের স্বেচ্ছাচারিতায়/ খামখেয়ালীপনায় পালিত হয়নি কোন অনুষ্ঠান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারি করা সরকারি প্রজ্ঞাপনে সুনির্দিষ্টভাবে বিজয় দিবস পালনের কথা বলা হলেও মাদ্রাসা সুপার কোন ভ্রুক্ষেপ করেননি। উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের বাজিতা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কয়েকজন সহকারী শিক্ষক ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায়নি। অথচ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ আশেপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মাদ্রাসা সুপার গোলাম মাওলা (সেলিম) দায়সারাভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। মহান বিজয় দিবসসহ সকল দিবসগুলোতেই বিধি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা, খেলাধূলা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চার করার নিয়ম থাকলেও তিনি কখনোই তা করেন না। আজকের এই বিশেষ দিনে শিক্ষকদের রুম ছাড়া আর সব রুম তালাবদ্ধ। মাদ্রাসা সুপার গোলাম মাওলা (সেলিম) শেষ পর্যন্ত আসেননি। মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ, বিজয় দিবস পালনে মাদ্রাসা সুপার কোনো প্রস্তুতি গ্রহণ করেননি। শিক্ষকরা বিজয় দিবসের দিন সকালে মাদ্রাসায় এসে সুপারের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি বারবার সংযোগটি টেকে দেন। পরে দুপুর ১২ টার দিকে সুপারের অনুপস্থিতিতে আমরা সংক্ষেপে দোয়া করে চলে যাই। মাদ্রাসা সুপার গোলাম মাওলা (সেলিম) এব্যাপার মুঠোফোনে বলেন, আমি ছুটি নিয়ে জরুরি কাজে বরিশাল চলে আসছি। সকল শিক্ষক ছিলো এবং অনুষ্ঠান হয়েছে। এবিষয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, ছুটির ব্যাপারে লিখিতভাবে কিছু জানাননি। কি কারণে তিনি প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলো তা জানতে চাওয়া হবে।