সেলিম রেজা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে স্কলাসটিকা মিরপুর সিনিয়র শাখা কর্তৃক প্রদর্শিত হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক ‘তাসের দেশ’। সকল কুসংস্কার, জড়তা ও নিয়মতান্ত্রিকতাকে ছিন্ন করে, পুরাতনকে ভেঙ্গে নতুনভাবে গড়ে তোলার ডাক নাটকটির অন্তর্নিহিত সুর। উক্ত আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বকবির নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম।
প্রফেসর শাহ্ আজম প্রথমেই চমৎকার আয়োজনের জন্য আয়োজকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জাতীয় সংগীতের মহান স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে বাংলাদেশে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বকবির প্রতি আমাদের যে দায় তা কিছুটা মোচন হয়েছে’। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, রবীন্দ্র ভুবনের এক আলোকজ্জ্বল ভুখণ্ড হলো নাটক। বিষয়গত ও রীতিগত নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে কবিগুরু বাংলা নাটককে সমৃদ্ধ করেছেন।
উপাচার্য শাহ্ আজম আরও বলেন, বিশ্বকবি তাঁর নাটকের মাধ্যমে মানুষকে মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন। এই মুক্তি, বন্ধন থেকে মুক্তি, জড়ত্ব থেকে মুক্তি, পরাধীনতা থেকে মুক্তি। রূপক -সংকেতের মাধ্যমে তিনি বারবার বাঁধ ভাঙার কথা, অচলায়তন ভাঙার কথা বলেছেন। রবীন্দ্রনাথ বারবার জীর্ণ পুরাতনকে পরিত্যাগ করে নতুনকে আহবান করেছেন। যৌবন তথা তারুণ্যের শক্তিকে তিনি পরিবর্তনের নিয়ামক বলে জেনেছেন।
তাই তাঁর নাটকে মুক্তিরদূত হিসেবে তরুণদের দেখতে পাই, যেমন এই নাটকে রাজপুত্র’। এ থেকে আমরাও স্বপ্ন দেখি আমাদের তরুণরাই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করবে।