রাকিব হোসেন মিলন বিশেষ প্রতিনিধি:রাজধানীর উত্তরায় মহাসড়কে জামায়াত অবরোধ করলে পুলিশ ধাওয়া দেয়।রাজধানীর উত্তরায় রেলপথ অবরোধ ও মহাসড়কে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এসে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি। আজ মঙ্গলবার টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচীর প্রথম দিনে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কসাইবাড়ী রেললাইন অবরোধ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। অপরদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের বিজিবি মার্কেটের সামনে সকাল সোয়া ৭টায় রাস্তায় আগুন লাগিয়ে অবরোধের চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে অবরোধকারীরা পালিয়ে যায়। কসাইবাড়ী রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিলের সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি রেজাউল করিম বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ সরকারের একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার ষড়যন্ত্র কোনো ভাবেই মেনে নেবে না। শেখ হাসিনার দলীয় সরকারের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচনও হতে দেবে না। রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের অবরোধ বিনা ভোটের সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অবরোধ। আজকের অবরোধ গণমানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার অবরোধ, সর্বোপরি দুর্নীতিবাজ, খুনী ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে বিক্ষুদ্ধ জনতার সর্বাত্মক অবরোধ।জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘এই সরকারকে শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে গণদাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। নাহলে তাদের পরিণতি শুভ হবে না। এদিকে জামায়েত রেললাইন অবরোধের কিছুক্ষণ পর উত্তরার বিজিবি মার্কেটের সামনে কাঠ, কাগজ, পলিথিন দিয়ে আগুন লাগিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা চালানো হয়। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। রেললাইন অবরোধ ও রাস্তায় আগুনের বিষয়ে ডিএমপির দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিদ্দিকুর রহমান ও উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মো. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কারো কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।