মো. ইসমাইলুল করিম নিজস্ব প্রতিবেদক: পার্বত্য বান্দরবানের লামায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে শুক্রবার (৮ লা মার্চ) সকালে। নারীরা কোনক্রমেই পিছিয়ে নেই। উন্নয়নে নারীদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। সে লক্ষে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, নারী-পুরুষের সম-অধিকার নিশ্চিত করা, নারীর কাজের স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য উদযাপনের উদ্দেশ্যে নানান আয়োজনে লামা উপজেলা পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস রাজনীতিতে নারী নেতৃত্ব এগিয়ে আছেন। লামা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়।এইবারের প্রতিপাদ্য বিষয় নারীর সমঅধিকার সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল ,বিশেষ অতিথি হিসেবে বন্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কী রানী দাশ সহ প্রমূখ। দিবসে সাংবাদিক ও শতাধিক নারী অংশ গ্রহণ করেন। এতে অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সফল নারী সভানেত্রীগণ। দিবসের আয়োজন করেন উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়। এর আগে দিবস উপলক্ষে এক বিশাল র্যালি বের করা হয়। আলোচনা সভা জেলা পরিষদ সদস্য ফাতেমা পারুল বক্তব্য বলেন “অগ্রাধিকার নয়; অধিকার চাই।” বরাবরের মতো এ বছরও শুক্রবার ৮ মার্চ পালিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’। আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পূর্বনাম ছিল আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও প্রতিবছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা। কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা। বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ হিসেবে এই দিবস উদযাপন করে থাকেন। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারী দিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য এক-এক প্রকার হয়। নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা, তাদের কাজের প্রশংসা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে এ দিবসকে নারীদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সাফল্য অর্জনের উৎসব হিসেবেই পালন করা হয়।