ইসমাইলুল করিম বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামায় ফাইতং ইউনিয়ন সুতাবাদী পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইনের বাস্তবায়ন শুরু হবে। আইনটির বিধি-প্রবিধি তৈরি করার কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আইনটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে হেলথ প্রোভাইডাররা দেশে প্রচলিত অন্যান্য সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীদের ন্যায় তাদের স্থায়ীকরণ, বেতন বৃদ্ধি, পদোন্নতির সুযোগ, গ্র্যাচুইটি এবং অবসরভাতাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন একদিন ।মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে,জয়তুন্নেছা ফাইতং সুতাবাদী পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মরত কমিনিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা (সিএইচসিপি) তৃণমূল পর্যায়ে আমরা সিএইচসিপিরা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার কাজটি করে থাকি। আমরা নিরলসভাবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবাগ্রহীতা ও সেবার মান বেড়েই চলেছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে লামায় কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প। ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছেন ইউনিয়ন ও পাড়া গ্রাম সাধারণ মানুষ। বাড়ির পাশেই বিনামূল্যে মিলছে স্বাস্থ্যসেবা। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেবা প্রদান করে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা নিজেরা এই প্রকল্পকে অবলম্বন করে ভবিষ্যত জীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছি। তাই এই প্রকল্পের আওতায় আমাদের চাকরির স্থায়িত্বের নিশ্চয়তা চাই। তিনি আরও বলেন এই ক্লিনিক পাশে বাউন্ডারি, সেবা রুমে বিদ্যুৎ ফ্যান,বর্তমান চাইতে এই ক্লিনিক রোগী সংখ্যা অনেক বেশি। তাই যে ওষুধ দেন এর চাইতে বেশি দরকার ওষুধ যতবেশি পাবো ততবেশি সেবা দিতে পারবো। কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মকা- আরও গতিশীল ও মানসম্মত করে তুলতে সকলের সহযোগিতা কামনা চাই। ফাইতং ৪/৫/৬ নং ওয়ার্ডে বিভিন্ন অসুস্থ রোগী ক্লিনিক সেবা নিতে এসে বলেন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে সুতাবাদী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রকল্প। ক্লিনিকের সুফল ভোগ করছে গ্রাম সাধারণ মানুষ। বাড়ির পাশেই বিনামূল্যে মিলছে স্বাস্থ্যসেবা। কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম যা বর্তমান সরকারের সাফল্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, দেশে-বিদেশে নন্দিত। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত গ্রামীণ জনগণ কাছাকাছি কমিউনিটি ক্লিনিক হতে সমন্বিত স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা পাচ্ছেন। এটি জনগণ ও সরকারের যৌথ উদোগে বাস্তবায়িত একটি কার্যক্রম। কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা কার্যক্রম আরও গতিশীল, মানসম্মত ও স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট’ গঠন করেছে সরকার।