শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি:মাগুরার শ্রীপুরে দীর্ঘদিন ধরে পিয়ন ও নাইটগার্ড দিয়ে চলছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। চরম জনবল সংকটে রয়েছে অফিসটি। অফিসটিতে পিয়ন ও নাইটগার্ড ছাড়া বাকি চারটি পদই শুণ্য রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ তিন মাস ধরে শুণ্য থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে চরম ভোগান্তির পাশাপাশি কাঙ্খিত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসী।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলা শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেকটা অগ্রসর। এ জনপদে অনেক লেখক, কবি, সাহিত্যিকের জন্ম হয়েছে। উপজেলায় রয়েছে ৫০ টি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। দীর্ঘদিন ধরে শুণ্য রয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ছয়টি পদের চারটি পদই। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাড়াই চলছে অফিসটি। যেখানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, অফিস সহকারী, হিসাব রক্ষক, অফিস সহায়ক ও নাইটগার্ড থাকার কথা সেখানে রয়েছে শুধুমাত্র পিয়ন ও নাইটগার্ড। কয়েক বছর ধরেই অফিস সহকারী ও হিসাবরক্ষক পদে কাউকে এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এ পরিস্থিতিতেই প্রায় তিন মাস আগে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বদলি হয়ে শৈলকুপা উপজেলায় চলে যান। তার দুই মাস যেতে না যেতেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম নকিবুল হাসান গাইবান্ধা সদর উপজেলায় বদলি হয়ে চলে যান। তার এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত এখানে কোন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে কাজলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের অফিসে কোন কর্মকর্তা না থাকায় আমরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছি। শিক্ষক নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কাজে আমাদের জেলায় যেতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম অধিকারী বলেন, অফিসে কোন কর্মকর্তা না থাকায় আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আমরা যে কাজ উপজেলায় করবো সে কাজের জন্য আমাদের মাগুরা যেতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক আকতার হোসেন বলেন, অফিসে কেউ না থাকায় আমরাই অফিসে আসছি। কোন অফিসার না থাকায় অফিসের সকল কার্যক্রম প্রায় বন্ধের পথে। অফিসার না থাকায় আমাদের বেতন ও তুলতে পারছি না। অফিস সহকারী ও হিসাব রক্ষক পদে কেউ থাকলে অফিসের কার্যক্রম অন্তত চলতো, তাও নাই।
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির বলেন, বদলিজনিত কারণে শ্রীপুরের দু’জন কর্মকর্তা বদলি হয়েছেন। অফিসে কোন কর্মকর্তাই না থাকায় অফিসিয়াল সকল কার্যক্রম চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। শুণ্য এ সকল পদে জনবল নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছি। আশা করছি খুব দ্রুতই এ সকল সমস্যার সমাধান হবে।