মাগুরার শ্রীপুরে বিয়ের দাবিতে কারারক্ষীর বাড়িতে অবস্থান করছে ইতি খাতুন (২৫) নামে এক কলেজ ছাত্রী। সে রাজবাড়ী উপজেলার নটাভাঙ্গা গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে এবং কসবা মাঝাইল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। বিয়ের আশ্বাস দেওয়া রাজ্জাক শেখ (৩০) ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে চাকরি করে৷ সে উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া গ্রামের হাসেম আলী শেখের ছেলে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাস দুই আগে রাজ্জাক শেখ ও তার দুলাভাই বিয়ের জন্য সাথী আক্তারকে দেখতে যায়, রাজ্জাক ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিলে তাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তখন ওই কলেজ ছাত্রী তার পরিবারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে, পরে পরিবার থেকে ৪ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দেয়, এরই মধ্যে দুজনের প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু হয়, এক পর্যায়ে ইতি রাজ্জাককে ভালবাসতে শুরু করে, তবে এ যোগাযোগ বেশিদিন টিকে না, হঠাৎ রাজ্জাক তার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়, বাধ্য হয়ে শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে ওই কলেজ ছাত্রী কারারক্ষীর বাড়িতে অনশন শুরু করে, পরে ওই দিন রাতে বিয়ের আশ্বাসে ওই কলেজ ছাত্রীকে বাড়িতে পাঠানো হয়। তবে বিয়ের বিষয়ে চরম সংশয়ে রয়েছে ওই কলেজ ছাত্রী। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ইতি খাতুন বলেন, প্রায় ২ মাস ধরে রাজ্জাক শেখের সঙ্গে আমার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছে, বিয়ের আশ্বাসে সে ৫ লাখ টাকা দাবি করে, টাকা দিলে পরিবারকে ম্যানেজ করে সে আমাকে বিয়ে করবে এমন প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু হঠাৎ সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় আমি আজ তার বাড়িতে চলে এসেছি, সে আমাকে বিয়ে করবে আর তা না হলে আমি আত্মহত্যা করবো। এ বিষয়ে অভিযুক্ত কারারক্ষী রাজ্জাক শেখ মুঠোফোনে বলেন, আমার সাথে তার শুধু কথা হয়েছে, অন্য কোন সম্পর্ক আমাদের মধ্যে নেই, আমাকে ফাঁসানোর জন্য সে এমন নাটক সাজিয়েছে। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) পিয়ার উদ্দিন বলেন, মেয়েটিকে তার বাড়িতে পাঠানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার হচ্ছে।