1. [email protected] : b.m. altajimul : b.m. altajimul
  2. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  3. [email protected] : Nazrul Islam : Nazrul Islam
  4. [email protected] : Md Salim Reja : Md Salim Reja
  5. [email protected] : Kamrul islam rimon : Kamrul islam rimon
  6. [email protected] : Torik Hossain Bappy : Torik Hossain Bappy
সলঙ্গার হাটিকুমরুলে জাল দলিলের ছড়াছড়ি! জাল দলিল তৈরির কারিগর কে এই প্রভাষক আনিছুর রহমান? দু'দক বরাবর অভিযোগ দাখিল - শিক্ষা তথ্য
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শাহজাদপুরে কোটা বিরোধী আন্দোলনের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধারা মাঠে নামলেন এই প্রথম জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় শিক্ষকের ছেলে আহত পাগলায় রাধাগোবিন্দ মন্দিরের দেবোত্তর সম্পত্তি রক্ষার্থে মানববন্ধন পটিয়ায় এরশাদের মৃত্যু বার্ষিকী আলোচনা সমাবেশে- নুরুল ইসলাম কমিশনার এরশাদ ছিলেন উন্নয়নের রুপকার  রাজধানীসহ সারাদেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা আগামীকাল রাউজানে ১ লাখ ৮০ হাজার চারা রোপন করা হবে জাবিতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ চলছে

সলঙ্গার হাটিকুমরুলে জাল দলিলের ছড়াছড়ি! জাল দলিল তৈরির কারিগর কে এই প্রভাষক আনিছুর রহমান? দু’দক বরাবর অভিযোগ দাখিল

সংবাদদাতা :
  • আপডেটের সময় : রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৭২ বার দেখা হয়েছে
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বিষমডাঙ্গা ও রায়গঞ্জের হাট ইচলা গ্রামের দুই দলিল গ্রহীতার পৃথক দু’টি দলিলের নম্বর ব্যবহার করে দু’টি জাল দলিল সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুলের সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের গডফাদার গ্রাম পাঙ্গাসী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আনিছুর রহমানসহ জাল দলিল সৃষ্টিকারী আব্দুল মান্নান,আব্দুল খালেক,জিল্লুর রহমান ও বুলবুল আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে। এদিকে সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি জাল দলিলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা হাসান আলীকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে নামজারি খারিজ করার পর মালিকানা দাবী করে পাষান আলী গংদের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। এতে জমির প্রকৃত মালিক পাষান আলী গংরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ফলে তারা নিরুপায় হয়ে জাল দলিল সৃষ্টিকারী আব্দুল মান্নান,আব্দুল খালেক,জিল্লুর রহমান ও বুলবুল আহম্মেদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ সলঙ্গা থানা আমলী আদালতে পৃথক পৃথকভাবে দু’টি মামলা দায়ের করেছেন,যার একটির পিটিশন নম্বর ১১৮/২৩ ও আরেকটির পিটিশন নম্বর ১১৯/২৩। পৃথক মামলা দুটি সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। অপরদিকে প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর চেয়ারম্যান,জেলা প্রশাসক ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোসহ সরকারি ১৮টি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
দু’দক চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিলকৃত অভিযোগে জানাগেছে,উল্লাপাড়া উপজেলাধীন সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের হাসানপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন খানের পুত্র আব্দুল মান্নান,আব্দুল খালেক, জিল্লুর রহমান ও বুলবুল  আহম্মেদ পরস্পর যোগসাজসে সলঙ্গা সাবরেজিস্ট্রী অফিসের বিগত ১৮/১০/১৯৮২ সনের ৬২৮২ নং দলিল নম্বর ব্যবহার করে হাটিকুমরুল গ্রামের পাষান আলীসহ তার ভাই তোফাজ্জল সেখ,তায়জাল সেখ, আব্দুল সেখ,মাতা মাহেলা খাতুন,বোন খোদেজা খাতুন,সোনেকা খাতুন ও দেলোয়ার হোসেন ওরফে দারোগ আলীকে দাতা এবং একই অফিসের বিগত ২৩/১১/১৯৮২ সনের ৭০৯৫ নম্বরের আরেকটি দলিলের নম্বর ব্যবহার করে সিদ্দিক হোসেন,রুপজান খাতুন,আছাব উদ্দিন ও মমতাজ খাতুনকে দাতা এবং মৌজা হাটিকুমরুল,জেএল নং-৪৯, আরএস খতিয়ান ৭৫৬,আরএস দাগ-১৭২৪ ও ১৮২৪ উল্লেখপুর্বক ২৭ শতক ভুমি কবলা দেখিয়ে পৃথক পৃথকভাবে দুটি জাল দলিল সৃষ্টি করে। আর এই সকল জাল দলিল সৃষ্টির নেপথ্যের গডফাদার ও সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের হোতা সলঙ্গা থানার চড়িয়া মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত্যু হাজী আমজাদ হোসেনের ছেলে বর্তমান নলকা ইউনিয়নের  চকসুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও গ্রাম পাঙ্গাসাী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আনিছুর রহমান নিজেই সাবরেজিস্টার সেজে সলঙ্গা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের ভুয়া সীল ও স্বাক্ষর নকল করে এ দুটি জাল দলিল তৈরি করে দেন। যেন জাল দলিলে ছেয়ে গেছে হাটিকুমরুল এলাকা। প্রভাষক আনিছুর রহমান ওই এলাকায় এমন জাল দলিল সৃষ্টি করে দিয়ে তিনি অসংখ্য মানুষকে সর্বশান্ত করে পথে বসিয়েছেন। এমনকি এ সকল জাল দলিল বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও রয়েছে বেশ কয়েকটি। আর এসকল জাল দলিল বাতিলের মামলা করতে গিয়ে ভুমির প্রকৃত মালিকরা আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অথচ এ চক্রের গডফাদার প্রভাষক আনিছুর রহমান রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে,উল্লেখিত সংঘবদ্ধ জাল দলিল সৃষ্টিকারীরা সংশ্লিষ্ট হাটিকুমরুল ইউনিয়নের তৎকালিন ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা হাসান আলীর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)’কে দিয়ে নামজারী খারিজও করে নিয়েছেন, যার একটি উপজেলা ভুমি অফিসের রেজিস্টারের কেস নং- ৯৯৯১/২০২০-২১ ও ইউনিয়ন ভুমি অফিসের রেজিস্টারের কেস নং-১৩৭৩/২০২০-২১ এবং আরেকটি উপজেলা ভুমি অফিসের রেজিস্টারের কেস নং-৮১০-২০২০-২১ ও ইউনিয়ন ভুমি অফিসের রেজিস্টারের কেস নং-১১৭৯-২০২০-২১। এদিকে জাল দলিল সৃষ্টিকারী সলঙ্গা থানার হাসানপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন খানের পুত্র আব্দুল মান্নান, আব্দুল খালেক,জিল্লুর রহমান ও বুলবুল আহম্মেদ কর্তৃক জাল দলিল সৃষ্টির কারিগর ও সংঘবদ্ধ চক্রের গডফাদার গ্রাম পাঙ্গাসী ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক আনিছুর রহমানকে দিয়ে রায়গঞ্জ ও তাড়াশ এলাকার যে, দুটি দলিলের নম্বর ব্যবহার করে জাল দলিল সৃষ্টি করে নামজারি খারিজ করেছেন সেই দলিলের জাবেদা নকল সংযুক্ত করে ওই নামজারী খারিজ বাতিলের জন্য ভুক্তভোগী পাষান আলীগংরা উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবর লিখিত আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু আবেদনের সাথে সকল প্রমানাদী দাখিল করার পরও তাদের সেই আবেদনটি বর্তমান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) খাদিজা খাতুন আমলে নেননি। উপরন্ত রহস্যজনক কারণে তিনি নামজারি খারিজ বাতিলের আবেদনটি আমলে না নিয়ে সেই জাল দলিলের মাধ্যমে করে দেওয়া নামজারি খারিজ দুটি তিনি বহাল রেখেছেন। ফলে ভুক্তভোগী পাষান আলী, তোফাজ্জল সেখ,তায়জাল সেখ, আব্দুল সেখ,মাহেলা খাতুন, খোদেজা খাতুন,সোনেকা খাতুন দেলোয়ার হোসেন ওরফে দারোগ আলী, সিদ্দিক হোসেন, রুপজান খাতুন,আছাব উদ্দিন ও মমতাজ খাতুন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিতসহ অপুরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এদিকে প্রতারক চক্রটি জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে ভুক্তভোগী পাষান আলী গংদের হাটিকুমরুল মৌজার ২৭শতক ভুমি গ্রাস করার জন্য রায়গঞ্জের ঘুড়কা ইউনিয়নের হাট ইচলা ও তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়নের বিষমডাঙ্গা গ্রামের পৃথক পৃথক দুই ব্যক্তির যে, দুটি দলিলের নম্বর ব্যবহার পুর্বক দুটি জাল দলিল সৃষ্টি করে উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও তৎকালিন হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা হাসান আলীর মাধ্যমে নামজারি খারিজ করে নিয়েছেন, সেই দলিল নম্বর মোতাবেক সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিস্টারের কার্যালয় ও সলঙ্গা সাবরেজিস্ট্রী অফিসের বালাম বইয়ে এর কোনই অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি ওই দুটি দলিল নম্বর মোতাবেক দলিল দাতা, গ্রহীতা, মৌজা, জেএল নং,জমির পরিমান ও ঠিকানা সবই ভিন্ন ভিন্ন। পক্ষান্তরে উল্লেখিত ৬২৮২/৮২ ও ৭০৯৫/৮২ নম্বর দুটি দলিলের মধ্যে সলঙ্গা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের বিগত ১৮/১০/১৯৮২ সনের ৬২৮২ নম্বর দলিলের জাবেদা নকলে দেখা যায়,দলিল গ্রহীতা-আয়নাল হক, পিতা মৃত মছের উদ্দিন সরকার এবং দাতার নাম রয়েছে খিরাতন নেছা বিবি,জজে কেফাত উদ্দিন প্রামানিক, উভয় সাং-হাট ইচলা, থানা-রায়গঞ্জ জেলা-পাবনা। অপরদিকে একই অফিসের বিগত ২৩/১১/১৯৮২ সনের ৭০৯৫ নম্বর দলিলের জাবেদা নকলে দেখা যায়, ওই দলিল দাতার নাম (১) আবেদ আলী আকন্দ,পিতা মৃত পাটু আকন্দ (২) আশ্রব আলী (৩) আবু বক্কার সেখ (৪) আছের আলী আকন্দ,উভয় পিতা- তছলিম উদ্দিন ও (৫) মোছাঃ ছবুরজান বিবি, জজে ইঞ্জিল প্রাং,সাং কুমাল্লু, থানা-তাড়াশ, জেলা-পাবনা। এতে গ্রহীতার নাম রয়েছে আজম আলী আকন্দ,পিতা মৃত মধু আকন্দ,সাং বিষমডাঙ্গা, থানা-তাড়াশ,জেলা-পাবনা। যার জেলএল নং-১২৮,খডিয়ান নং-৮৩/২৬১/২৮১, দাগ নং সাবেক ৬৫১/৮৯০ ও হাল ১১৩৭,জমির পরিমান ১১ শতক। অথচ  উল্লেখিত ৬২৮২/৮২ ও ৭০৯৫/৮২ নম্বরের সেই দুটি জাল দলিল সৃষ্টিকারীদের পক্ষ অবলম্বন করে হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা হাসান আলী মোটা অংকের টাকা নিয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কর্মকর্তাকে দিয়ে  ৯৯৯১/২০২০-২১, ১৩৭৩/২০২০-২১, ৮১০-২০২০-২১, ১১৭৯-২০২০২১ নং দুটি নামজারি খারিজ করে দিয়েছেন,যা রাষ্ট্রীয় অপরাধের সামিল বলে দাবি করে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী পাষান আলীগংরা। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী পাষান আলী গংরা ওই নামজারি খারিজ বাতিলসহ তৎকালিন হাটিকুমরুল ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা হাসান আলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন এবং দলিলের বালাম বহি তলবপূর্বক  ৬২৮২/৮২ ও ৭০৯৫/৮২ নং ভুয়া ও জাল দলিল সৃষ্টির গডফাদার প্রভাষক আনিছুর রহমান ও জাল দলিল সৃষ্টিকারী আব্দুল মান্নান,আব্দুল খালেক,জিল্লুর রহমান ও  বুলবুল আহম্মেদের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এর চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং একই সঙ্গে তারা  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন,আইন,বিচার-সংসদ বিষয়ক ও ভুমি মন্ত্রণালয়ের সচিব,রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার,উপ-মহাপুলিশ,পরিদর্শক,সিআইডি, অধিনায়ক, র‍্যাব-১২,জেলা প্রশাসক,সিরাজগঞ্জ পরিচালক, ডিজিএফআই,বগুড়া,পুলিশ সুপার,সিরাজগঞ্জ, যুগ্নপরিচালক ,এনএসআই, সিরাজগঞ্জ,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ,উপ-পরিচালক, দুদক, সমন্বিত (সিরাজগঞ্জ-পাবনা), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উল্লাপাড়া, অফিসার ইনচার্জ,সলঙ্গা থানা, সিরাজগঞ্জ, সলঙ্গা ও উল্লাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর অনুলিপি প্রেরণ করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪
  • ১২:০৮
  • ৪:৪৩
  • ৬:৪৯
  • ৮:১১
  • ৫:২৪
শিক্ষা তথ্য পত্রিকার কোন লেখা, ছবি বা ভিডিও কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি