রাকিব হোসেন মিলন:সাংবাদিকতায় লেখার বিষয় ও উপাদান ছড়িয়ে আছে সব জায়গায়। বলা হয়ে থাকে সাংবাদিকতায় লেখালেখির জগৎ বিস্তৃত আছে গোটা বিশ্ব জুড়ে।আমাদের চারপাশে অসংখ্য ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। প্রাত্যহিক এই ঘটনা গুলো অনুসন্ধান করলে কিংবা গভীর বিশ্লেষণ করলে বেড়িয়ে আসবে অজানা সব তথ্য। খুঁজে পাওয়া সম্ভব ব্যতিক্রমধর্মী,রহস্যজনক ও কৌতুহল উদ্দীপক মানবিক আবেদনস্পর্শী হাজারো/ লাখো উপাদান ও বিষয়বস্তু।মূলত একজন সাংবাদিক কে প্রতিনিয়ত বুদ্ধিবৃত্তিক এই চ্যালেন্জ নিয়ে সামনে এগিয়ে চলতে হয়।নতুন কিছু অনুসন্ধানের শেষ এখানে নেই।আছে শুধু সর্বত্র নতুন,নতুন গবেষণা ও উদ্ভাবনী শক্তি দিয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ লেখা ও কাজ উপহার দেওয়া।একজন দক্ষ সাংবাদিক তার চারপাশে ঘটে যাওয়া প্রতিনিয়ত বিষয় গুলো তিনি উপলব্ধি করেন,অনুভব করেন এবং সত্যিকার অর্থে তিনি যে কোনো কঠিন একটি বিষয়কে ও সহজে তার লেখা/প্রতিবেদনে পাঠক উপযোগী করে তুলে ধরতে সক্ষম হন।লেখার বিষয় ও উৎস পরখ করবার জন্য তাঁর থাকতে হয় তৃতীয় নয়ন। একজন সাধারণ মানুষ যে দৃষ্টিভঙ্গিতে একটি বিষয় চিন্তা করেন, একজন সাংবাদিককে সেই সাধারণ দৃষ্টিতে ঘটনা বিশ্লেষণ করলে হয় না।সাংবাদিকের দৃষ্টিভঙ্গি ও অন্তর্দৃষ্টি হতে হবে ভিন্নতর ও তাঁর প্রকাশভঙ্গি হবে অত্যন্ত আকর্ষণীয়।সাংবাদিকের থাকতে হবে সঠিক বিষয় খুঁজে নেওয়ার “তীব্র গন্ধ শোঁকার নাক” যাকে ইংরেজি পরিভাষায় বলা যায় Nose for News. এই বিশেষ গুনটি রপ্ত করতে পারলেই তবে একজন সাংবাদিক সত্যিকার অর্থে সাফল্য খুঁজে পেতে পারেন।একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক এই সময়ে তথ্য প্রযুক্তির যুগে লেখার/প্রতিবেদন তৈরি করবার টপিকস এর অভাব নেই।মূলত তীব্র অভাব রয়েছে সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষতা সম্পন্ন সাংবাদিকতার। দৈনন্দিন সংবাদপত্রের পাতা থেকেও গবেষণা করে বিশ্লেষণধর্মী বিভিন্ন বিশেষ প্রতিবেদন তৈরী করা সম্ভব। কোনো বিশেষ সংবাদ, বিজ্ঞাপন এমনকি পাঠকের চিঠিপত্র কলাম থেকেও তথ্য নিয়ে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করে একটি চমৎকার প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব। Hard News এর সুত্র ধরে বিশেষ দৃষ্টিকোন ঠিক করে একজন সাংবাদিক চমৎকার Soft News এর ভূবনে সাড়া ফেলতে পারেন।একজন সাংবাদিককে নিজের নির্দিষ্ট কর্মস্থল ছাড়াও আরো বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়া হাউজের পত্রিকা, টিভি চ্যানেল কিংবা রেডিও ভিত্তিক সংবাদ পর্যালোচনা করে করে এগিয়ে যেতে হবে।
চলবে…..