স্টাফ রিপোর্টার:বিগত স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ আওয়ামী সরকার আমলে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা ও মামলার নেতৃত্বদানকারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক হিয়াইল্যা ইয়াছিন ও গোদনাইল ইউনিয়ন যুব লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহানের তান্ডবে মানুষ যখন দিশেহারা তখনও স্থানীয় ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন তাল মিলিয়ে স্বৈরাচারদের সাথে ভূমিদস্যুতার ব্যবসা করে যাচ্ছিল। বর্তমানে যেখানে সবাই পলাতক ও আতংকে রয়েছে বৈষম্যবিরোধী মামলার কারণে সেখানে একটিও মামলা শাহজাহান ও হিয়াইল্যা ইয়াছিনের বিরুদ্ধে হয়নি। অথচ হিয়াইল্যা ইয়াছিন বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে বহু নাশকতা মামলার বাদী। উক্ত মামলার কারণে কতশত মানুষ নিঃস্ব হয়ে গেছে তার কোন ইয়াত্তা নেই।
পাতি নেতা আক্তার হোসেনের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এলাকায় দিব্বি ঘোরাফেরা করছে শাহজাহান ও ইয়াছিন। যার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছে দলীয় নেতাকর্মীসহ অনেকেই। এলাকাবাসী জানায় অস্ত্র, হত্যা ও বিষ্ফোরকসহ ভূমিদস্যুতা মামলার একাধিক আসামী ইয়াবাখোর অস্ত্রবাজ যুবলীগ ক্যাডার শাহজাহান সরকার ও পুলিশের সোর্স এবং ছেচরা হিসেবে পরিচিত গাজাখোর কৃষকলীগের ত্রাস হিয়াইল্যা ইয়াছিন আইলপাড়া পাঠানটুলী এলাকায় আতংকের নাম ছিল। বিভিন্ন বাসাবাড়িসহ শিল্প কারখানায় করতো চাঁদাবাজি। আর এই ধরনের অপরাধীদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে গোদনাইল ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন সহ তার সহচররা জায়গা জমির ব্যবসা করতো একসাথে। যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় আক্তারের সেখানে অঢেল টাকার মালিক বনে গেছেন আক্তার।
বর্তমানে ঝুটসহ বিভিন্ন চাঁদাবাজির টাকা বন্টনের দায়িত্বেও রয়েছে স্থানীয় বিএনপির এই আক্তার হোসেন। এলাকায় মুরুব্বীদের সাথে দুর্ব্যবহারসহ হুমকী ধামকী ও বিভিন্ন সাধারণ মানুষকে রেখেছে শংকার মধ্যে। কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছেনা। ওয়াইফাই ব্যবসাসহ সকল ব্যবসার সাথে আক্তারকে অংশীদার হিসেবে রাখতেই হবে তা না হলে ঐ ব্যক্তির আর রক্ষা নেই। এই আক্তার পাঠানটুলী মোড়ে বিভিন্ন দোকানে বসে তার সহযোগীদের অরাজকতার দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। কিন্তু নাম পরে অন্য জনের। ধরি মাছ না ছুই পানির মতো গিরিঙ্গিবাজ আক্তার হোসেন এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আওয়ামী অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে লালন পালন করে মদদ দিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমানে বিএনপির বিভিন্ন শাখা প্রশাখার কমিটি হতে যাচ্ছে আর অমনিতেই আক্তার তার ঊর্ধ্বতন নেতাকে ডিগবাজি মেরে বড় পদ পাওয়ার প্রত্যাশায় বিভিন্ন কুটচাল চালছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির তিনজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য বলেন আক্তার হোসেন একটা অমানুষ। এলাকার চোর ছেচ্চরদের সাথে তার সম্পর্ক এবং আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে তার রয়েছে দহরম মহরম সম্পর্ক। এলাকার কাউকেই মানছেনা। শুধু টাকা আর টাকা চাই তার। সামাজিক ও বিভিন্ন কমিটি নিয়েও ষড়যন্ত্র করে খারাপদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে। এই আক্তারের বিরুদ্ধে এখই ব্যবস্থা না নিলে দলের বদনামসহ ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।