পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:– প্রতি বছরের ন্যায় ১৪ জুলাই সোমবার জাতীয় পার্টির প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ ৬ষ্ট ও জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রয়াত সাবেক পটিয়া পৌররভার মেয়র শামসুল আলম মাষ্টারের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টি। এ দুই নেতার মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতায় বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলার আহবায়ক আমান উল্লা আমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম কমিশনার, কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাদেশিক বিষয়ক সম্পাদক ও পৌর সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, কেন্দ্রীয় সদস্য ও উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল কবির চৌধুরী টিটু এক বিবৃতিতে দক্ষিণ জেলার আওতায় সকল উপজেলা পৌরসভা এরশাদ ও শামসুল আলম মাষ্টারে মৃত্যু বার্ষিকী যথাযত মর্যাদা পালন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টি পটিয়া পৌর সদরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এরশাদ ও শামসুল আলম মাষ্টারের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্বরণ সভা ও খতমে কুরআন দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হইবে এতে সকলের উপস্থিতি কামনা করেছে। উল্লেখ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ২০১৯ সালের এই দিনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে তার পরিবার রংপুরে চলে আসে।
রংপুরেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালের ফেব্রুারিতে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। বিচারপতি আবদুস সাত্তার স্বেচ্ছায় ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতা তুলে দেন এরশাদের কাছে। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হন। গণআন্দোলনের মধ্যে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালে এরশাদ গ্রেফতার হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় এরশাদ ৫টি করে আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হন।