রিপোর্ট, মো.নজরুল ইসলামঃ- বরগুনার আমতলী উপজেলার চিলা হাসেম বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের আয়োজনে ও অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের অংশগ্রহণে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন কর্তৃক এসএসসি পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনে ভুল তথ্য লিপিবদ্ধ, অতিরিক্ত ফি আদায়, ছাত্রছাত্রী ও অবিভাবকদের সাথে প্রধান শিক্ষকের অসৌজন্যমূলক আচরণ সহ সকল অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ঘন্টা ব্যপি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে।
স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল শেষে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্যে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রতি বছর মোয়াজ্জেম স্যার ইচ্ছাকৃত ভাবে অত্র বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের যাবতীয় তথ্য ভুল লিপিবদ্ধ করে সংশোধনের জন্য মোটা অংকের টাকা দাদী করেন, তিনি প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ২০২৫ ইং সালের এস.এস সি পরিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনে নাম, পিতা/মাতার নাম, জন্ম তারিখ সহ যাবতীয় বিভিন্ন তথ্য ভুল দিয়েছেন, এসব ভুল সংশোধনের জন্য স্যারের কাছে গেলে সে জনপ্রতি ছাত্র/ছাত্রীদের কাছ থেকে নগদ ৫,০০০/- টাকা থেকে ১০,০০০/- টাকা দাবী করেন, স্যারের দাবিকৃত টাকা না দিতে পারলে সকলের সামনে অপমান করে, তাই অত্র বিদ্যালয়ে ছাত্র/ছাত্রীরা প্রধান শিক্ষকের এহেন অন্যায় কার্যকলাপের প্রতিবাদ করলে তিনি তাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন, ঘার ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বেড় করে দেন এবং পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়া সহ প্রাকটিক্যালে নাম্বার কম দেয়ার হুমকি প্রদান করেন। উক্ত বিষয় নিয়া কোন অভিভাবক তাহার নিকট সমাস্যা সমাধানের জন্য গেলে সে চেয়ারম্যানের প্রত্যয়নপত্র, বিজ্ঞ আদালতের এভিডেভিট সহ বিভিন্ন প্রকার কাগজপত্রের অযুহাত দেয়, কাগজপত্র না দিতে পারলে মোটা অংকের ঘুষ দাবি করেন, প্রতি বছর প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম স্যারের এহেন অত্যাচারে অত্র বিদ্যালয়ে শত-শত শিক্ষার্থী ভিষণ ভাবে বিপদগ্রস্থ হয়ে পরেছে।
তাই এই দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম স্যারের সকল অনিয়মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ও চলমান সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান চায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এসকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, এধরনের অবৈধ কোন কর্মকান্ডের সাথে আমি জড়িত না।
এবিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক হাসান বলেন, আমি বিষয়টি জেনে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খতিয়ে দেখার জন্য বলেছি, প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।