আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ- বরগুনার আমতলী উপজেলায় বসুন্ধরা শুভসংঘের কার্যকরী কমিটির পরিচিতি সভা ও বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে সমাজে পিছিয়ে পড়া ১৫ জন অস্বচ্ছল নারীকে স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় আমতলী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কালের কণ্ঠ আমতলী উপজেলা প্রতিনিধি হায়াতুজ্জামান মিরাজের সঞ্চালনায় বসুন্ধরা শুভসংঘ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রকিবুল হাসান রাজুর সভাপতিত্বে কার্যকরী কমিটির পরিচিতি সভা ও বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে সমাজে পিছিয়ে পড়া অস্বচ্ছল নারীদের স্বাবলম্বি করার লক্ষে বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দেয়া কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সাইফুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক খান মতিয়ার রহমান, কালের কণ্ঠ কলাপাড়া প্রতিনিধি জসিম পারভেজ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম সাঈদ খোকন, শুভসংঘের উপদেষ্টা আলহাজ্ব তারিকুল ইসলাম টারজান, আসাদুজ্জামান কাওসার প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি সুমন রশিদ, কালের কণ্ঠের মাল্টিমিডিয়া প্রতিনিধি আল আমিন বাবু, বসুন্ধরা শুভসংঘ আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম ইমন, সহ-সভাপতি মামুনুর রশিদ রাতুল, সুমাইয়া শিলা, প্রচার সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, সদস্য হারুন অর রশিদ, জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী, মোশারেফ হোসেন মোল্লাসহ সকল সদস্যরা। সেলাই প্রশিক্ষণে আমতলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তা, অসহায়, অতিদরিদ্র ও অস্বচ্ছল নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ নিতে আসা তিনা আক্তার বলেন, আমি একজন স্বামী পরিত্যাক্তা নারী, বসুন্ধরা শুভসংঘ যাচাই-বাচাই করে আমার নামটি তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করেছে, আমি প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে সেলাই মেশিন দিয়ে গ্রামের মানুষের জামা কাপড়সহ অন্যান্য পোষাক তৈরী করে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। বিধবা রিনা বেগম বলেন, আমি আমার সন্তান ও পরিবার নিয়ে আর্থিকভাবে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আমার আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য এই প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ শেষে সেলাই মেশিন পেলে তা দিয়ে পোশাক তৈরী করে আমার পরিবারের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করতে পারবো, এজন্য আমি বসুন্ধরা শুভসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রশিক্ষক মোসাঃ সাহিদা বেগম জানান, প্রশিক্ষণ নিতে আসা নারীদের হাতে কলমে ৩৫টি আইটেমে তিন মাস ব্যাপী প্রশিক্ষন দেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, বসুন্ধরা শুভসংঘের সকল ভালো কাজের সংঙ্গে আমি থাকবো ও সর্বাত্বক সহযোগিতা করবো, তিনি সেলাই প্রশিক্ষণ নিতে আসা নারীরা যাতে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের দেয়া মেশিন পেয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে পারে ও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।