1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
আমতলীতে মাজার ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা, আহত-২০ - শিক্ষা তথ্য
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বিএনপি মানুষের অধিকার পুরণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে, যুবদল নেতা আবু মাসুম গলাচিপায় ইউএনও’র অপসারণের দাবিতে ছাত্র-জনতার অফিস ঘেরাও ও অবস্থান কর্মসূচি আমতলীতে মাজার ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা, আহত-২০ গলাচিপা ইউএনও’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ হ্যাক, ইউএনও’র সংবাদ সম্মেলন বন্দরে ওসমান পরিবাবের বড় ডেভিল লজিং মাস্টার থেকে এখন শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক জাপা নেতা গিয়াস সুনামগঞ্জে ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থী এড.নুরুলের সমর্থনে কুরবান নগর ইউনিয়নে বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল ছাতকে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেফতার পটিয়ার শোভনদন্ডী ইউনিয়ন ইফতার মাহফিলে ইদ্রিস মিয়া নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার সম্ভব নয় দ্রুত নির্বাচনের দাবি যুগান্তরের বর্ষপূর্তিতে পথ শিশু, দুস্থদের মাঝে নগদ অর্থ ও খাবার বিতরণ মুক্তিয়োদ্ধা সংসদ না’গঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ড এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আমতলীতে মাজার ভেঙ্গে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা, আহত-২০

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫
  • ২৫ Time View
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ- বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরশ চলাকালে মাজার ভেঙে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ তৌহিদি জনতা। প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের কমীরা।তার আগেই আগুনে মাজারের ভিতরের সামিয়ানা ও দুইটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বিক্ষুব্ধ  তৌহিদি জনতার হামলায় অন্তত ১৮/২০জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েক জনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনা ঘটেছে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় রবিবার রাত সোয়া ১২ টার দিকে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে তিনটায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানাগেছে, আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ এর মাজার স্থাপন করা হয়। ওই সময় থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুইদিন ব্যাপী ওরশ উৎযাপন করে আসছেন। ২৮ তম ওরশ রবিবার সন্ধ্যায় শুরু হয়। ওইদিন তৌহিদি জনতা  মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক এসে মাজার পুজা ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন।
কিন্তু মাজারের খাদেম অ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরশ বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন, এ নিয়ে তাদের মধ্য দ্বন্দ্ব হয়, এক পর্যায় তৌহিদি জনতা  লাঠি সোটা নিয়ে মাজার ভাংচুর করে এবং আগুন দেয়। এতে ওই ওরশে আসা হাজার হাজার ভক্ত ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে মাজারের দুইটি বৈঠকখানা ও মাজারের মধ্যে সামিয়ানা পুড়ে ছাই হয়ে যায়, এতে অন্তত ১৮/২০ জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে সোলায়মান (৩৮), রেজাউল (১৮), বাদল মৃধা (৪০), দুলাল মৃধা (৪২), আবু বকর (২৯), আবুল হোসেন (২৮), আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৮), মোঃ মামুন (৪৩), আবুল কালাম (৪২), জোবায়ের (১৯) ও ফজলুল করিম (২৭) কে  আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, শতাধিক তৌহিদি জনতা ­লাঠি সোঠা নিয়ে এসে মাজার ভাংচুর করে, পরে মাজারে আগুন দেয়, এ সময় ওরশে আসা হাজার হাজার ভক্তবৃন্দ ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, আগুন ধাউ ধাউ করে জ্বলতে থাকে, মানুষ দিক বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। ইসমাইল শাহ মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদীর নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি সোঠা নিয়ে এসে অতর্কিতভাবে মাজারে হামলা চালায় এবং আগুন দেয়, এতে মাজারের ভিতরের গিলাব এবং দুটি বৈঠকখানা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, তারা ভক্তবৃন্দকে মারধর করেছে, আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
মুফতি ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, এ মাজারটি ভন্ডের আস্তানা, এখানে ওরশের নামে গানবাজনা ও গাজা মাদক সেবন ও নারীর আসর বসে, আর মাজারটির ভক্তবৃন্দ মহিলারা পীরের কবরে ও প্রধান খাদেম অ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের পায়ে সেজদা দেয়, ওরসে নারী পুরুষদের গান বাজনাও চলে প্রকাশ্যে, যা সম্পুর্ণ ইসলাম বিরোধী, আমার মাজারের খাদেম মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে এই রমজান মাসে অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দেরা আমার লোকজনের ওপর হামলা করেছে, এই ভন্ড মাজারের খাদেম বাবুল ও তার দোসরদের শাস্তি দাবী করছি।
আমতলী ফায়ার ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ২ টা ৩৫ সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুই ঘর পুড়ে গেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে অঅইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারেক হাসান ও ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন, তারা বলেন আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সকল পক্ষকে শান্তিপূর্ন ভাবে থাকার নির্দেশ দেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি