সাজ্জাদ আহমেদ মাসুদ, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর গলাচিপায় একটি আশ্রয়ণকেন্দ্রের ব্যারাকের অধিকাংশ ঘরগুলোতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মানুষ না থাকায় সেখানে এখন নিয়মিত বসবাস করছে গরু-ছাগল। এতে ওই আশ্রয়ণকেন্দ্রের অন্যসব বাসিন্দার মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমন চিত্র উপকূলীয় গলাচিপা উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন চরকাজলের চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়নের বড়শিবা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোল্লাপাড়া সরকারি আশ্রয়ণকেন্দ্রে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বড়শিবা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অসহায় হতদরিদ্র গরিব মানুষের থাকার বাসস্থানের জন্য ২৮টি পাকা ভবন ব্যারাক নির্মাণ করেন সরকার।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে নির্মিত হয় আশ্রয়ণকেন্দ্রটি। স্থানীয় কিছু বিপথগামী ও প্রভাবশালীর নানা অত্যাচার, নির্যাতন ও জোর জুলুমের কারণেওই আশ্রয়ণকেন্দ্রের অধিকাংশ বাসিন্দারা স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়। ফলে আশ্রয়ণকেন্দ্রটি ধীরে ধীরে পরিণত হয় বিভিন্ন তাসের জুয়া ও মাদকের নেশার আকড়ায়। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের বসবাস না থাকায় আশ্রয়ণকেন্দ্রটিতে এখন বসবাস করছে গরু-ছাগল।
আশ্রয়ণকেন্দ্রের সভাপতি মো. হানিফ মিয় বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আশ্রয়ণকেন্দ্রে বিভিন্ন অপকর্ম চলছিল প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে। ৫ আগস্ট সবকিছু বন্ধ হলেও আশ্রয়ণকেন্দ্রে গরু-ছাগলের বসবাস এখনো বন্ধ হয়নি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো আমাকে হুমকি প্রদান করে প্রভাবশালীরা। তাই আমি ভয়ে মুখ খুলতে পারছি না।’ এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানতাম না, এখন জেনেছি। সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’