আড়াইহাজারে হত্যা মামলা তুলে না নেয়ায় বাদীর পরিবারের উপর অত্যাচার, প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভোক্তভোগী পরিবার। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের শালমদী নয়াবাজারে ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হন হাজী মোসলেম। এ ঘটনায় নিহত মোছলেমের স্ত্রী সাহেরা বেগম বাদি হয়ে ২০ জনকে আসামী করে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন মালনা নং আড়াইহাজার-৪৭(২)২৩। উক্ত মামলায় আসামীগন গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ দিন জেল হাজতে থাকার পর জামিনে এসে গোপনে এবং প্রকাশ্যে বাদীর পরিবারের উপর অত্যাচার করতে থাকে। এ ব্যাপারে বাদী সাহেরা বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ে করে বিষয়টি আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ ও তদন্ত কর্মকর্তা নাহিদ মাসুমকে জানায়। উক্ত আসামী ও তাদের আত্মীয় স্বজন বিভিন্ন স্থানে বলাবলি করে আসছে মামলা তুলে না নিলে আরো খুন খারাবি হতে পারে। বাদী ও তার পরিবারের লোকজন কে ঘায়েল করতে ৬ নং আসামী বাতেনের স্ত্রী নাছিমা বাদী হয়ে ৭ জনকে আসামী করে একটি মারপিট ও লুটপাটের মামলা করেন। ওই মামলায় ৪ জন আসামীর বাড়ি অন্য গ্রাম ও অন্য ইউনিয়নে হওয়ায় কয়েক দফা তদন্তের পর তাদের সংস্লিষ্টতা না থাকায় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন আড়াইহাজার থানার এস আই নুরে আলম। বাদী নাসিমা এ চার্জশীটে নারাজি দিলে বিজ্ঞ আদালত মামলার পুনঃ তদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশ ব্যাুরো অব ইনভেস্টিগেশনের এস আই মাসুদ পারভেজকে। তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ সরেজমিনে তদন্তে আসেন। নিহত হাজী মোসলেমের স্ত্রী সাহেরা কান্না জড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, মামলা তুলে নিতে আসামীরা নানাভাবে তার পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছে। মামলা তুলে না নেয়ায় তার পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে আসামী পক্ষ। রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ইটপাটকেল ছোড়ে, বাড়িতে ডুকে ঘরের বেড়ায় থাপরাইয়া চলে যায় এজন্য আমরা শান্তিতে ঘুমাতেও পারিনা। নিহত হাজী মোসলেমের ভাই মোস্তফা জানান উক্ত আসামীদের মধ্যে কয়েকজন মোস্তফার ছেলে মহিবুর হত্যারও আসামী। একাধিক হত্যা মামলার আসামী হয়েও বাদী ও তার পরিবারের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে আসামী পক্ষ। এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।