বন্দর প্রতিনিধি:
প্রাইভেট টিচার থেকে অঢেল সম্পত্তির মালিক রাসেল, মামলায় আসামী হলেও রাব্বি হোসাইন, শুক্কুর প্রধান, কুদ্দুস মৃধারা অধরা??
প্রাইভেট টিচার থেকে অঢেল সম্পত্তির মালিক রাসেল, মামলায় আসামী হলেও রাব্বি হোসাইন, শুক্কুর প্রধান, কুদ্দুস মৃধারা অধরা। দলীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে এখন বিএনপির নেতা হওয়ার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে। কমল, নাসিক ২৩ নং ওর্য়াড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান কমল, আনোয়ার হোসেন আনু, রাব্বি হোসাইন, মোতালেব মিয়া, মাসুদ রানারা গোটা বৈঠক করে দিব্বি প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরছে।
রাসেল মিয়া যখন ইসরাইলী পণ্য পোলার আইসক্রিমের বন্দর ও সদর থানা এলাকায় ২ টি ইসরাইলী পণ্য পোলার আইসক্রিম ডিলারশীপ নিতে সার্বিক খরচ প্রায় ২০ কোটি টাকার। রাসেল বিষয়টি প্রশাসন সাথে লুকোচুরি করে চলছে।
বন্দর বিগত আওয়ামীলীগ সরকার আমলের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর ঘনিষ্ট হওয়ায় সব চেয়ে বেশি সুবিধা নেয়া মাঈন উদ্দিন আহমেদ রাসেল। এক সময়ে প্রাইভেট টিচার থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের হাত ধরে আইভীর ঘনিষ্ট হয়ে গত ১৫ বছরের আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তিনি। রিপা কনস্ট্রাকশন নামে ঠিকাদারী লাইসেন্সে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বেশির ভাগ কাজই হাতিয়ে নিয়ে অত্যান্ত নিম্নমানের কাজের মাধ্যমে তিনি বাগিয়ে নিয়েছেন সরকারের শত শত কোটি টাকা।
বর্তমানেও রাসেল আহমেদের শত কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। গত ১৫ বছরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ বড় বাড়ি মোড় সংলগ্ন ৩টি বাড়ি, একটি প্লট, বাগবাড়ি ৪টি প্লট, মিশনপাড়া রয়েছে দুটি বিলাস বহুল ফ্লাট। এছাড়াও লক্ষণখোলা ডাম্পিং এর জন্য নির্ধারিত একর জায়গা জরিপকৃত লোকদের ম্যানেজ করে নাল জমি বালু দিয়ে ভরাট করে ১০৫ শতাংশ জায়গা নিজের নামে করে নিয়েছে। এ নামে-বেনামে রয়েছে প্রায় কয়েশ কোটি টাকার সম্পদ ও নগদ অর্থ।
সাবেক মেয়ী
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার জানান, নাসিকের সাবেক মেয়র আইভীর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ট হওয়াতে প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদারকে কাজ না দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাসেলকে কাজ দিয়ে থাকে। তার মত দূর্নীতিবাজ ঠিকাদার নাই বললেই চলে। সে যতগুলো কাজ করেছে তার অধিকাংশরই বর্তমানে কোন অস্তিত্ব নাই। যেগুলোর অস্তিত্ব আছে সেগুলোও অত্যান্ত জরাজীর্ণ এবং যান চলাচল অনুপযোগি। তার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে ঠিকাদার মহলেও।
স্থানীয়দের মতে, মাঈন উদ্দিন আহমেদ রাসেল ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র আইভীর ঘনিষ্ট এবং আওয়ামীলীগের অর্থদাতা। সে সুবাধে বড় বড় কাজ গুলো বাগিয়ে নিয়েছে। অত্যান্ত নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছে। অনেক কাজের অস্তিত্বও নাই। নানা অনিময়ের মাধ্যমে সরকারী কোটি কোটি টাকা আজ তার পকেটে। বর্তমানে সে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক।
স্থানীয়রা আরও জানায়, গত ১৫ বছর স্বৈরাচার আমলে আইভীর ঘনিষ্ট হয়ে হঠাৎ করেই সে আলালের ঘরের দুলাল হয়ে গেছে। এবং আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে সেই প্রতিদান দেয়ার চেষ্টা করেন রাসেল। ওই মামলায় তিনি ৪ নাম্বার আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে ঠিকাদমাঈন উদ্দিন আহমেদ রাসেল মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
আইভী গ্রেপ্তার হলেও ঘনিষ্ট সহচর রাসেল, কবির, মোতালেবরা অধরা
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার করলেও অধরায় রয়ে গেছে রিপা কনস্ট্রাকশনের মাঈন উদ্দিন আহমেদ রাসেল।
.
আইভীর হাত বট গাছ হরিন!
শেখ হাসিনার পথে আইভীও জনগনকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করার চেষ্টা করেছে। তার ফোকাস ইমোশনাল ব্লাকমেইল আমজনতা গ্রহন না করলেও দৃষ্টিতে ছিল প্রশাসনের। স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা ৪৫ মিনিটের মধ্যে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। দেশের মানুষকে পুনরায় উসকানিমূলক কথা বলে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে গিয়েও পারেনি। শেখ হাসিনা ওই সময় বলেছিলেন যে, আমার কি দোষ বলেন?? সচেতন মহলের দাবী তাহলে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বললেন আমার কি দোষ, তাহলে দেশের লুটপাট করেছে কে??
সেই পথেই জনগনকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে গিয়ে বিপদে ফেলেছে অতিউৎসাহীদের। সাবেক মেয়র আইভী গ্রেফতার হওয়ার পর সকালে সাংবাদিকদের বলেন, আমার কি দোষ আপনারা বলেন। আমি জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলেছি, প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে বলছি জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু এটা যদি আমর দোষ হয় তাহলে আমি মৃত্যুর পূর্ব মূর্হুত পর্যন্ত বলে যাব জয় বাংলা,, জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান দিয়ে গাড়ীতে উঠে। শেখ হাসিনা ও আইভীর উসকানিমূলক বক্তব্য জনগণকে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করতে গিয়ে নিজে কাশিমপুর কারাগারে৷ আর তার লালিত ও পালিত পোষ মানা পাখির মত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। যে মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ্য করলেও লাগব বোয়ালরা অধরা। বিশেষ ক্ষমতাধর আইভী যে এক সোনার হরিন। আধ্যতিক কোন প্রকার যাদু রয়েছে। কারন আইভীর হাত যার মাথার উপর সেই টোকাই ঠিকাদারও কোটিপতি বনে যায়। আইভীর কাছে যেন গায়বী বা আধ্যতিক শক্তি রয়েছে। আইভীর হাত যার মাথার ছায়া হয়, সেই যেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যান।
আইভী গ্রেফতার, ঠিকাদার রাসেল, কবির মামলায় আসামী, শুক্কুর প্রধান, আকিল, রাব্বি হোসাইন, হুমায়ন কবির এলিন, আনোয়ার হোসেন আনু, তার ভাই টিটুরা অধরাও!
সাবেক মেয়র আইভীকে বিশেষ অপারেশন অভিযানে গ্রেফতার করলেও অধরাও ঠিকাদাররা। জেলার টানা তৃতীয়বারের মতো সেরা করদাতা যার অবধানে সেই রাসেলসহ সুবিধাভোগীরা অধরা। সাবেক মেয়র আইভী র বাড়িতে পুলিশের বেষ্টনীতে আবব্ধ ছিল। প্রশাসনের বেষ্টনীতে আইভী যখন চুনকা কুঠিররে, রাত প্রায় পৌনে ৩ টার দিকে রাসেল তার স্ত্রীকে নিয়ে রিকশা যোগে নিজ বাড়িতে এসেছে বলে অনেকে জানান।
সূত্র মতে, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের হাত ধরে মেয়র আইভীর কাছে লোক বনে যাওয়াদের মধ্যে রাসেল একজন। কদম রসুল এলাকার শুধু রাসেল নয়, এমন আরো ডজনখানিকের বেশি সুবিধাভোগী ঠিকাদার রয়েছে যারা জিরো হতে হিরো হয়েছে। সেই মেয়রের বিপদকালে দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার নারী পুরুষ ৪ টি রাস্তা বল্ক করে উল্টো প্রশাসনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। আর সুবিধাভোগী রাসেল, কবির, শুক্কুর প্রধানরা অধরা । সাবেক মেয়র আইভীর ঠিকাদারদের প্রশাসনের আওতায় নিয়ে জিঞ্জাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসবে বিষধ চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সচেতন মহলের দাবী, অপারেশন ডেভিড হান্ট অভিযানে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা