1. [email protected] : adminbackup :
  2. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  3. [email protected] : stnews :
কলাপাড়ায় মসজিদ-মন্দির উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা লোপাটের অভিযোগ - শিক্ষা তথ্য
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জুলাই সনদের স্বীকৃতি ও শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিতে হবে – মমিনুল হক সরকার পটিয়ায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিবন্ধির জায়গায় বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ কলাপাড়ায় উন্নত চিকিৎসা দিতে অসুস্থ সাপের এক্সরে! রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী মামুন হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার রূপগঞ্জে মাদ্রাসা ছাত্রীকে বাড়ির মালিক কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগ একটি চক্র সক্রিয়: পটিয়া ভুমি অফিসের পেশকারের টাকা লেনদেনের ভাইরাল ভিডিও ও বাস্তবতা?  বন্দরে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামী আলমগীর ও হাফিজ প্রকাশ্যে থাকলেও গ্রেফতার করছেনা পুলিশ কলাপাড়ায় জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে সংবর্ধনা কুয়াকাটা সৈকতে ফটোগ্রাফারদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা কলাপাড়ায় মসজিদ-মন্দির উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা লোপাটের অভিযোগ

কলাপাড়ায় মসজিদ-মন্দির উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা লোপাটের অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫
  • ৩৭ Time View

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বরাদ্দকৃত মসজিদ ও মন্দির উন্নয়ন তহবিলের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর উঠেছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার দিকে। জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডির আওতায় কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পূর্ব আলিপুর গ্রামে ‘বায়তুল বিলকিস জামে মসজিদে’ উন্নয়ন কাজের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী, এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন কলাপাড়ার কবির মৃধা।

মসজিদ কমিটি কাজটি ভালোভাবে করার লক্ষ্যে এলজিইডি’ কলাপাড়া অফিস ও ঠিকাদারের সাথে সমন্বয় করে নিজেরাই কাজটি করেছেন। অথচ ঠিকাদার এখন মসজিদ কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষ টাকার বেশি দিতে চাচ্ছে না এমন অভিযোগ মসজিদ কর্তৃপক্ষের। মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান জানান, ‘‘ঠিকাদার ও অফিসের সাথে  সমন্বয় করে আমরা নিজেরাই কাজটি করি। যদিও এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কিন্তু তিনি শুধু এক লাখ টাকা দেন এবং বলেন, আর কোনো টাকা দিতে পারবেন না।’ এ বিষয়ে এলাকার মুসুল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘বর্তমানে তো দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। সরকার গঠনের আগেই এই বরাদ্দ এসেছে।

তাহলে পুরো বরাদ্দের অর্থ সরাসরি মসজিদের কাজেই খরচ হওয়া উচিত ছিল। এই অবস্থায়ও যদি ঠিকাদার টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্নীতি ঘটতে পারে।’’এ রকম অভিযোগ শুধু পূর্ব আলিপুর মসজিদেই নয়, কলাপাড়া উপজেলার একাধিক মসজিদ ও মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে ঠিকাদার কবির মৃধা বলেন, ‘তিন লাখ টাকার একটি প্রকল্পে পাঁচ শতাংশ লেস ও ভ্যাট কেটে আমার হাতে এসেছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকার চেক। এরমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ও নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতরে নির্ধারিত খরচ রয়েছে, পাশাপাশি অফিসিয়াল আরও কিছু ব্যয় বহন করতে হয়। সব কিছু মিলিয়ে এ সকল খরচ  মেটানোর পর এক লক্ষ টাকার বেশি দেয়ার সুযোগ কোথায়?'”

এই ব্যাপারে এলজিইডি পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হোসেন আলী মীর বলেন, “আমার অফিসে বা উপজেলার কোথাও এক টাকাও ঘুষ দেয়ার প্রয়োজন নেই। যদি কেউ বলে থাকে, তবে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শুধু ভ্যাট খরচ বাদ দিয়ে ঠিকাদারের কিছু ব্যবসা রেখে বাকি পুরো অর্থ মসজিদ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো খরচ দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার কোন সুযোগই নেই ।” এদিকে এলাকা জুড়ে এ ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি