মোয়াজ্জেম হোসেন, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অসহায় হত দরিদ্র জেসমিন আক্তার(৩৫)। বরগুনা জেলার খেজুরতলা এলাকার ইদ্রিস খানের স্ত্রী। ভিক্ষাবৃত্তির জন্য কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে কলাপাড়া পৌর শহরে অবস্থান করেন।সন্তান সম্ভাবা জেসমিন অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ মানবতা কর্মী মিন্টুর সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র চিকিৎসক জুনায়েদ খান লেলিন’র অর্থায়নে হাসপাতালে ভর্তি হন। এবং তার চিকিৎসায় ওইদিনই একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু তাদের কোনরকম গরম পোশাক ছিলনা। মিন্টু মিয়া নিজ উদ্যোগে যতটুকু সম্ভব ব্যাবস্থা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.রবিউল ইসলামের শরনাপন্ন হলে তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মোকছেদুল আলম’র সাথে পরামর্শ করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র পাঠিয়ে দেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মোকছেদুল আলম অসহায় এ পরিবারের খোঁজ নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে শীতবস্র তুলে দেন। শীতবস্ত্র পেয়ে অনেক খুশি হতে দেখা যায় অসহায় জেসমিন এবং তার স্বামীকে। এ সময় তার সাথে ছিলেন অসহায় ভারসাম্যহীন মানুষের জন্য কাজ করা যুবক মো.মিন্টু মিয়া। মানবতাকর্মী মো. মিন্টু মিয়া জানান, করোনাকালীন সময় থেকে এ সমস্ত অসহায় ভারসাম্যহীন মানুষের জন্য কাজ করেছি।তাদের মুখে দু-মুঠো খাবার তুলে দিতে বিত্তবানদের কাছে গিয়েছি। উপজেলা প্রশাসনের অনেক সহায়তা এনে তাদের জন্য কাজ করেছি। ০৪ ডিসেম্বর জেসমিন’র খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জুনায়েদ খান লেনিন’র কাছে গেলে তিনি তার চিকিৎসার দ্বায়িত্ব নেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জুনায়েদ খান লেনিন বলেন, মানবতাকর্মী মিন্টু মিয়ার মাধ্যমে জেসমিন’র চিকিৎসা দিতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। এর আগেও এ ধরনের সহায়তা দিয়েছি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মোকছেদুল আলম বলেন, এই উপজেলায় আমি নুতন এসেছি। অসহায় জেসমিন’র জন্য কিছু করতে পেরে আনন্দ হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে তার জন্য পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।