1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
কলাপাড়ায় চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা, নিম্নমানের খাবারসহ জনবল সংকট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স - শিক্ষা তথ্য
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বেলকুচিতে আলম প্রামানিকের নিজস্ব উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ পটিয়া আমির ভান্ডার খানকা শরিফে মহান বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সাংবাদিক সেলিমের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা ও পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস বিএনপির নেতা আশার কলাপাড়ায় চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা, নিম্নমানের খাবারসহ জনবল সংকট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জসিম উদ্দিন ঝন্টু আর নেই আশানারূপ মাছ না পেয়ে হতাশ পটুয়াখালীর জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী কলাপাড়ায় ঘুষের মামলায় অধ্যক্ষ ও শিক্ষানুরাগী কারাগারে প্রায়ত সাংবাদিক তোফাজ্জল ও সেলিমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবের দোয়া পলাতক আসামী যুবলীগের শাহজাহান বিএনপি নেতা বাবুলের ছত্রছায়ায় দিগুবাবুর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থা’র কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

কলাপাড়ায় চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা, নিম্নমানের খাবারসহ জনবল সংকট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১২ Time View
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাসহ জনবল চরম সংকটে। হাসপাতালে আসা রোগিরা বঞ্চিত হচ্ছেন যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে। একই দশা উপজেলার কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতাল ও মহিপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাপাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৩০০-৩৫০ জন রোগি চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। মাত্র ৩-৪ জন চিকিৎসক তাদের অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে এ পরিমাণ রোগির চিকিৎসা সেবা দিতে পারেন না।রোগিরা বাধ্য হয়ে ভিজিট দিয়ে অফিস সময়ের পরে বাইরে চেম্বারে চিকিৎসা সেবা নিতে হয়। ফলে দরিদ্র রোগিদের ভোগান্তির কোন শেষ নেই। একইভাবে ভর্তি হওয়া রোগির চাপও থাকছে অনেক বেশি।
উপজেলা সদরের এ হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, শয্যার চেয়ে ভর্তি হওয়া রোগির সংখ্যা বেশি। কলাপাড়া উপজেলা সদরসহ কুয়াকাটা এবং মহিপুর নিয়ে মাত্র ১১ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন উপজেলায়। উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসককে অধিকাংশ সময় প্রশাসনিক নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। এর মধ্যে একজন চিকিৎসক প্রেষণে পটুয়াখালী রয়েছেন। অথচ চিকিৎসকের পদ রয়েছে ৩৬ জনের। কলাপাড়া উপজেলা সদরে মাত্র চারজন চিকিৎসক বহির্বিভাগে দৈনিক তিন থেকে সাড়ে তিন’শ রোগির চিকিৎসা সেব সামাল দিচ্ছেন। যাতে একেজন রোগিকে সর্বোচ্চ ৫ মিনিট সময় দেওয়া সম্ভব নয়। চিকিৎসক সংকটে জরুরি বিভাগ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। একইভাবে কর্মচারীর ৭৬টি পদ খালি রয়েছে। সমস্যার যেন শেষ নেই। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করাতে হয় আউটসোর্সিংয়ের জনবল দিয়ে। একই দশা কুয়াকাটা হাসপাতালের।
হাসপাতালে সরকারিভাবে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস বি-সি, প্রেগনেন্সী, কিডনি, জন্ডিস, এইডস, ভাইরাস, এক্সরে, ডায়াবেটিকসহ অসংখ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা স্পমুল্যে করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু রোগিদের অভিযোগ, কতিপয় চিকিৎসক তাদের নিজেদের পছন্দের ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য পাঠান। তবে বেশ কিছু ওষুধপত্র রোগিরা বিনামূল্যে পেয়ে আসছেন। কিন্তু এ বছরের জুন মাসের পর থেকে প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জরুরি কিছু মেডিসিন ঠিকাদার সরবরাহ না করায় রোগিরা বঞ্চিত হচ্ছেন চিকিৎসা সেবা থেকে। হাসপাতালের বাথরুম-টয়লেট পরিচ্ছন্নতা নিয়েও রোগিদের অভিযোগ রয়েছে। কতিপয় নার্স-আয়া, ক্লিনারদের বিরুদ্ধে রোগিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের কথা শোনা গেছে।
রোগিদের খাবারের মান নিয়ে উঠেছে এন্তার অভিযোগ। কলাপাড়া হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া রোগি পারভিন জানান, চারদিন আগে সে ভর্তি হয়েছেন। কিছু ওষুধপত্র হাসপাতাল থেকে পাচ্ছেন। বাকিটা বাইরে থেকে কিনতেও হয়েছে। জানালেন, সকালে রুটি আর একটি কলা দেওয়া হয়েছে। রাতে ও দুপুরে দেওয়া হয়েছে সেদ্ধ একটি করে ডিম আলুর ঝোলসহ রান্না করা। এমটাই চলে অধিকাংশ দিন। তবে দুপুরে বয়লার মুরগি রান্নার কথা জানালেন বাবুর্চি।
কলাপাড়া হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার জেএইচ খান লেলিন জানান, খাবারের মান নিয়ে ঠিকাদারকে বহুবার সতর্ক করা হয়েছে। আবারও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন। তিনি জানালেন, কলাপাড়া উপজেলা ছাড়াও পাশের আমতলী, তালতলী ও রাঙ্গাবালী উপজেলার অসংখ্য রোগি এই হাসপাতালে প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। চিকিৎসক সংকটের কারনে আমরাও কঠিন ভোগান্তিতে আছি।জরুরী ভিত্তিতে এখানে  চিকিৎসক ও কর্মচারীদের খালিপদ পুরন করার দাবি জানান তিনি। এছাড়াও তিনি বলেন, হাসপাতালের বড় সমস্যা তিন ফেইজ বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকা। সিঙ্গেল ফেইজ সংযোগ থাকায় লোডশেডিংএর কবলে পড়তে হয়। জেনারেটর থাকলেও সবসময় জালানি সংকুলান দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না, আর্থিক সংকট রয়েছে। আর বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ভ্যাকসিন মান নিয়ন্ত্রণ করে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা অসম্ভব হয়ে ওঠে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি