কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দা চুরি যাওয়া নিয়ে বিরোধের জেরে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ও ছাত্রলীগ নেতার হামলায় তিনজন গুরুতর জখম হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় ধানখালী ইউনিয়নের সোমবাড়িয়া বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত শাহআলম প্যাদা (৫৫), রুবেল প্যাদা (২৮) ও রাজিব মোল্লা (২৮) শরীরের যন্ত্রনা নিয়ে কলাপাড়া হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন। বর্তমানে তারা হামলাকারীদের পুন:হামলার ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছেন। আহত ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বেশ কয়েকদিন আগে চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের শাহআলমের প্রতিবেশী আবুল গাজীর ঘর থেকে একটি দা চুরি হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দা চুরির ঘটনা নিয়ে শাহআলমের স্ত্রী হালিমা ও আবুল গাজীর ছেলের বউ মিতুর সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় শাহআলম, তার পুত্র রুবেল ও মেয়ে জামাতা রাজিব মোল্লা চম্পাপুর ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী ধানখালী ইউনিয়নের সোমবাড়িয়া বাজারে যায়। এসময় দা চুরির অভিযোগে বাকবিতন্ডার জের ধরে চম্পাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাকিল মোল্লা এবং ওই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগ সাধারন সম্পাদক আলআমিন গাজী, শাকিল মোল্লার ভাতিজা ধানখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউসুফ মোল্লা, ইয়াকুব গাজী ও আবুল গাজী লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহত শাহআলম প্যাদা বলেন, আমি বাজারে পিয়াজ কেনার জন্য গিয়েছিলাম।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা আমাদের উপর মারধর শুরু করে। জিআই পাইপ, হকস্টিক ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তারা আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। অপর আহত শাহআলমের পুত্র রুবেল বলেন, তারা আমার কপাল ফাটিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে এসে আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। চম্পাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাকিল মোল্লা বলেন, বিষয়টি নিয়ে ফয়সালার জন্য গেলে তাদের সঙ্গে আমাদের বাকবিতন্ডা এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম বলেন,অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।