1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
কাশীপুর লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ - শিক্ষা তথ্য
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ১১:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ঈদের দিনেও রায়েরবাগে গরুর হাটের বর্জ্যে নাকাল জনজীবন পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন জাহাঙ্গীর আলম প্রতিবন্ধীদের অর্থ আত্মসাৎকারীরা নিজেই প্রতিবন্ধী-গোলাম ফারুক খোকন পটিয়াবাসীসহ দেশবাসীকে পবিত্রঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নুরুল ইসলাম কমিশনার র‍্যালী বাড়ীওয়ালা ঐক্য পরিষদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ কলাপাড়ায় পাঁচ হাজার চাঁন টুপি পরিবারের আগাম ঈদ কলাপাড়ায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জিয়াউর রহমান’র শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে না’গঞ্জ অটোরিক্সা চালক ইউনিয়নের মিলাদ মাহফিল ও দোয়া তালতলীতে গুড নেইবারস বাংলাদেশের আয়োজনে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উদযাপন কলাপাড়ায় শিক্ষক সমিতির পূর্বমিলনী ও ঈদ উপহার বিতরণ

কাশীপুর লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১৩৪ Time View

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ লায়ন জে এল ভৌমিকের কাশীপুর লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও কৌশলে নানা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে ৷ জানা গেছে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা প্রোগেসিভ লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল যেটা কাশীপুর লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল নামেই বেশী পরিচিত ৷ শুরুতে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ভাড়া বিল্ডিং নিয়ে হাসপাতাল টি গড়ে উঠে ছিল ৷ শুরুর দিকে এই চক্ষু হাসপাতালের সেবা গ্রহনের টিকিট মূল্য ধরা হয় ৫০ টাকা এর পরে ৭০ টাকা এর মধ্যে ধীরে ধীরে রুগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় পর্যায় ক্রমে তারা টিকিটের দাম বাড়াতে থাকে এবং তাদের সেবার পরির্বতে ব্যাবসার পরিধি ও লোভ বাড়তে থাকে ৷ ফলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান লায়ন জি এল ভৌমিক কাশীপুর সম্রাট হল সংলগ্ন মধ্যে পাড়া এলাকায় চড়া দামে জমি কিনে দ্রুত নিজস্ব নতুন বহুতল ভবনে লায়ন চক্ষু হাসপাতাল গড়ে তুলেন এবং রোগীর টিকিটের দাম বাড়িয়ে করা হয় ২০০ টাকা ৷ ফলে সাধারন রুগীদের মাঝে ক্ষোভ বাড়তে থাকে ৷ কিন্ত অনেকেই নিরুপায় হয়ে এখানে চিকিৎসা সেবা নেন ৷ এই প্রতিষ্ঠানের নরসিংদীতে ও আরো একটি চক্ষু হাসপাতাল আছে ৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কতিপয় কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা যায় ৷ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নিজে হিন্দু হওয়ায় এখানে ৯৫ % কর্মচারী কর্মকর্তা নারী পুরুষ হিন্দু ৷ বাকীরা মুসলিম কর্মচারী ৷ খুব সহজে এখানে মুসলিমদের কাজ করার সুযোগ কম ৷ জি এল ভৌমিক তার বিশ্বস্ত দূর্নিতিবাজ সহকারী ম্যানেজার বিমল বিশ্বাস কে দিয়ে হাসপাতালে সব কিছু নিয়ন্রন করে থাকেন ৷ আগে বিমল বিশ্বাস ও সাবেক ম্যানেজার পলাশ মিলে দূর্নীতি করতো এখন পলাশ নরসিংদী বদলি হওয়ায় নতুন ম্যানেজার প্রসেনজিৎ বাবু সহকারী ম্যানেজার বিমলকে নিয়ে নানা অনিয়মে মেতে উঠেছে ৷ বিমলের সাথে যোগ সাজেশ করে প্রতিদিন রুগীর সেবা বিঘ্নিত করে হাসপাতালে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা হোন্ডা নিয়ে এসে বসে থাকে ৷ তারা রুগীর হাত থেকে প্রেসক্রিপসন নিয়ে চেক করে এবং ডাক্তার দের তাদের কোম্পানীর ঔষধ লিখতে বাধ্য করে ৷ কতিপয় এলাকাবাসী জানিয়েছেন জি এল ভৌমিক লায়নন্স ক্লাব সহ বিদেশের বহু দাতা সংস্থা থেকে তার দুই চক্ষু হাপাতালের জন্য বিশেষ অর্থ সহায়তা আনেন কিন্ত তিনি হাসপাতালের উন্নয়ন আর নিজের উন্নয়ন করলেও রুগীদের কোন সেবার উন্নতি করেননি ৷ যদি রুগীদের উন্নতি তারা চাইতেন তাহলে টিকিটের দাম এত টাকা হতো না আর সেবার মান নিন্মমূখী হতো না ৷ জানা গেছে জি এল ভৌমিক বিগত দিনে সৈরাচার আওয়ামীলীগের দোসর ছিলো ৷ সে তার নিজের প্রভাব খাটানোর জন্য হাসপাতালের বিভিন্ন অফিস কক্ষে শেখ হাসিনার ছবির সাথে তার বিভিন্ন ছবি বড় করে বাঁধিয়ে রাখতেন ৷ কাশীপুরের বিভিন্ন আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে তার ছিলো সখ্যতা এসব তিনি করতেন তার চাটুকার সহকারী ম্যানেজার বিমলের মাধ্যমে ৷ বিমল কাশীপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামলীগের কতিপয় নেতাদের নিয়মিত অফিসে আপ্যায়ন করতেন চাঁদা দিতেন ৷ অনেকটা ক্যাডার পোষার মতো তাদের হাত করে রাখতেন বিমল ও সাবেক ম্যানেজার পলাশ বাবু ৷ এলাকাবাসী গন জানায় , এই চক্ষু হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় , ভূল অপারেশনের কারনে ৩ /৪ বার কয়েক জন রুগীর চক্ষু নষ্ট হয়েছে ৷ হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে উক্ত রুগীর স্বজন দের সাথে কর্তৃপক্ষের মারা মারি বাক বির্তক হয়েছে বহুবার ৷ প্রতিটি ঘটনা আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড নেতা ও সেচ্ছা সেবক লীগ ইউনিয়ন সভাপতির সাথে হাসপাতালে বসে বিচার আচার করে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এ গুলো সমাধান করেছেন ৷ বর্তমানে ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর জি এল ভৌমিক নিজ রুপ বদলেছেন ৷ হাসপাতাল থেকে শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে তোলা তার বড় বড় ছবি গায়েব করে ফেলেছেন ৷ তিনি এখন টাউট বিমল বাবু কে দিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন ৷ বিএনপি নেতাদের নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন এই হাসপাতাল থেকে ৷ গত শুক্রবার তারা বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী থেকে সহকারী ম্যানেজার বিমল ও নতুন ম্যানেজার প্রসেনজিৎ এবং কর্মরত ডাক্তারদের সহায়তায় তাদের ঔষধ রুগীদের লিখে দেওয়ার চুক্তিতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে। চক্ষু হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম চালু রেখেই কতিপয় ভাড়া করা ষ্টাফ দিয়ে চিকিৎসা কাজে রাখে ৷ সকল ডাক্তার কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ৭ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ৩ টি (বি আর টি সি ) বাস সহ আরো চার টি মাইক্রোবাস নিয়ে চক্ষু হাসপাতালের বার্ষিক বনভোজন করেছেন সুর্বন গ্রাম রির্সোটে ৷ যার পুরো টাকা বহন করেছে কয়েকটি ঔষধ কোম্পানীরা ৷ গত বছর ২০২৪ পিকনিকের সময় প্রাধান্য ছিল স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা আর ২০২৫ পিকনিকের সময় প্রাধ্যন্যে ছিল স্থানীয় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ কর্মচারীরা ৷ যার মূল ব্যাবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল বির্তকীত সেই বিমল বাবু ৷ উক্ত ঔষধ কোম্পানী গুলো থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মোটা অংকের টাকায় বনভোজন করা হলেও সাধারন মানুষ মনে করেন এই টাকা প্রতিটা রুগীর পকেট থেকেই ডাক্তারদের মাধ্যমে ঔষধ লিখিয়ে তুলে নিবে ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিরা ৷ তবে সচেতন মহল মনে করেন তারা বনভোজন করুক বা চাটুকারিতা করুক কিন্ত সাধারন মানুষ যেন তাদের কাছে সুচিকিৎসা পায় আর সেবার মান টা যেন ভাল হয় আর টিকিটের দামটা যেন কমানো হয় ৷ ভিতরে কর্মচারীরা যেন রুগীদের সাথে ভালো আচরন করেন , ঔষধের দামটা যেন নায্য মূল্য রাখা হয় ৷ হাসপাতালটি যেন কোন রাজনৈতিক কার্যালয় না হয় ৷

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি