উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন’র (উপরা) আহ্বায়ক কে এম বাচ্চু বলেন, সকালে জোয়ারের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। ধারণা করা যাচ্ছে এ কারণেই সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে তীরে ভেসে আসে ডলফিনটি। এটির শরীরের সম্পূর্ণ চামড়া উঠে গেছে। দুর্গন্ধে কাছে ঘেষা যাচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে গত ২ দিন আগে মারা গেছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১১টি, ২০২৪ সালে ১০টি ও এর আগে ২০২৩ সালে ১৫টি মৃত ডলফিন তীরে ভেসে এসেছে। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল হক বলেন, শুধু অনুমান করে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। কেউ বলছেন জালে আটকে, কেউ বলছেন জাহাজের ধাক্কা, আবার কেউ বলছেন মাইক্রোপ্লাস্টিক দায়ী। কিন্তু এসবই অনুমান। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। মহিপুর বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, কিছুদিন পর পর এসব মৃত ডলফিনের দেখা মেলে। ডলফিন ভেসে আসার খবর পেয়েছি। আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।