1. [email protected] : Gk Russel : Gk Russel
  2. [email protected] : stnews :
কুয়াকাটায় ১০ দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিএনপি সভাপতির দুই ছেলে - শিক্ষা তথ্য
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়ীত্ব গ্রহণের পর, শাহজাদপুরে ১৩টি ইউনিয়নে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন   রায়পুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় মামলা, বিএনপির ১৬ নেতা বহিষ্কার ক্রিম আপার বিরুদ্ধে মামলা বাউফলে মেয়েকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথে বাবার মৃত্যু বাউফলে বাজার দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ আহত -১০ বাউফলে সাংবাদিককে হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন পটিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-২, আদালতে মামলা কলাপাড়ায় যুবদল নেতার পা ভেঙ্গে দিলেন একই দলের নেতারা কলাপাড়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত ব্যবসায়ীকে মারধর, ছিনতাই, বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারন, শ্রমিক দল নেতা গ্রেফতার

কুয়াকাটায় ১০ দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিএনপি সভাপতির দুই ছেলে

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০২৫
  • ২৭ Time View
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি । জমির মালিকানা দাবি করে ১০টি দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতির দুই ছেলে। বৃহস্পতিবার সকালে সৈকত সংলগ্ন শুটকি মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে ওই ১০ দোকানী জীবিকা বন্ধ হয়ে গেছে। তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। দোকান বুঝে পেতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পৌর বিএনপির অন্যান্য নেতারা।
ওই ১০ দোকানী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ বছর আগে বেল্লাল মোল্লা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তারা দোকানগুলো ভাড়া নেন। এসময় এক এক দোকানী ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা করে বেল্লাল মোল্লাকে অগ্রিম প্রদান করেন। কিন্তু ৫ আগষ্ট গনঅভ্যুত্থানের পর ওই জমি তিন ব্যক্তি দাবি করেন।এরা হলেন কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজ মুসুল্লী, রাশেদুল-আফতাব ও বেল্লাল মোল্লা। দোকানীরা এ তিন ব্যক্তিকে বসে বিষয়টি সমাধানের জন্য বার বার অনুরোধ জানান।
কিন্তু দীর্ঘদিনেও বিষয়টি সমাধান না করে পৌর বিএনপির সভাপতির ছেলে লতাচাপলী ইউনিয়ন যু্বদলের সহ সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মুসুল্লী তাদের সঙ্গে দোকানীদের নতুন করে ভাড়ার চুক্তিপত্র করার চাপ প্রয়োগ করেন। জমির মালিকানার বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় দোকানীরা রিয়াজ মুসুল্লির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ করতে রাজি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার সকালে রিয়াজ মুসুল্লী ও তার ভাই মহিপুর থানা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মু্সুল্লী সহ তাদের অনুসারীরা দোকানগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দোকানী বলেন, আমরা সবাই বেল্লাল মোল্লার সঙ্গে চুক্তিপত্র করেছি। তাকে আমাদের লাখ লাখ টাকা অগ্রিম দেয়া। আমরা রাজনীতি বুঝিনা। আমাদের সামান্য শুটকি বিক্রি করে পেট চলে। কিন্তু গতকাল রিয়াজ মুসুল্লী ও তার ভাইসহ ৮ থেকে ১০জন আমাদের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে সে আমাদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তার সঙ্গে আমাদের ডিট করতে বলেছে। দুইদিন পর ঈদ। রোজার একমাস কোন বিক্রি ছিলোনা, লোকসানে দিন কেটেছে। ঈদে দোকান খুলতে না পারলে আমাদের ব্যবসা লাটে উঠবে।
বেল্লাল মোল্লা বলেন, ১৯৯৬ সালে পটুয়াখালী পৌরসভার কমিশনার মিলন মিয়ার স্ত্রী উম্মে সালমার কাছ থেকে আমি এই জমি ক্রয় করেছি। সে আমাকে সাড়ে ১৬ শতাংশ জমির দলিল দিয়েছে। পরে সেখানে দোকান তুলে ভাড়া দিয়েছি। দোকান তোলার সময় বা পরে ভাড়া দেয়ার সময় অন্য কেউ এ জমির মালিকানা দাবি করেনি। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তারা দোকানগুলো দখলে নিয়েছে। এর আগে মুসুল্লী বাড়ির ছেলেরা আমাকে মারধর করেছে। আমি দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। জমির মালিকানা দাবি করা রাসেদুল ও আফতাব বলেন, সাবেক লতাচাপলী মৌজার ১১২৭ নং ক্ষতিয়ানে ৫১৭৮/১০০২ এবং ৫১৮০/১০০৩ দাগের মালিক ৭ জন। আরজআলী, ওয়াজেদ আলী, আবদুল আলী, সোমেদ আলী, সেকান্দার আলী, সুলতান শেখ ও চান মিয়া। এসব মালিকের কাছ থেকে ৫ একর ৯৯ শতাংশ জমি লাল মিয়া ১৯৭০ সালে ক্রয় করেন। লাল মিয়ার ওয়ারিশগন ৭ মাস আগে আমাদের নামে আমোক্তারনামা দেয়। জমি বুঝে পাওয়ার জন্য অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। বর্তমানে আমাদের জমি বুঝে পাওয়ার জন্য দেওয়ানি মামলা চলমান রয়েছে।
কুয়াকাটা পৌর বিএনপির ১নং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন ঘরামী বলেন, সভাপতির দুই ছেলে জোরপূর্বক ক্ষমতা খাটিয়ে এ কাজটি করেছে।দোকানে তালা দেওয়ার পর আমি ওখানে গিয়ে রিয়াজের কাছে জানতে চাইলে সে উল্টা পাল্টা কথা বলে এবং দোকানীদের ভয়ভীতি দেখায়।  এভাবে তাদের দোকানে তালা মারা কোনভাবেই ঠিক হয়নি। এটা আসলে দলের জন্য একটা বিপর্যয়। এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজ মু্সুল্লীর ছোট ছেলে লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সহ সাধারন সম্পাদক রিয়াজ মুসুল্লী বলেন, এ যায়গা আমার বাবার। আমরা বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। পরে দোকানীদের আমাদের কাছ থেকে ডিট নিতে বলেছি। কিন্তু কোন সমাধান না পেয়ে বৃহস্পতিবার দোকানগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি। কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজ মুসুল্লী জানান, আমার ওই জমির বৈধ মালিকানার কাগজপত্র রয়েছে। যারা আমার সঙ্গে ডিট করেছে তাদের দোকান খুলে দেয়া হয়েছে। বেল্লাল মোল্লা আওয়ামী লীগের ক্ষমতার জোরে ওই জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছিল। রাসেদুল-আফতাব ওই জমি দাবি করলেও তাদের দাগ অন্য যায়গায়। আমার দাগের মধ্যে তাদের জমি নেই।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, বিষয়টি খোজখবর নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সাইবার প্লানেট বিডি