শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম, (সুন্দরগঞ্জ) গাইবান্ধাঃ- দেশে সৎ নিষ্ঠাবান কর্মকর্তার অনেকটা অভাব থাকলেও উত্তর জনপদের কর্মকর্তাদের মধ্যে খুবি ব্যতিক্রমি কর্মকর্তা হলেন, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান। তিনি খুবি ছোট একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন, অভাব আর দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে শিক্ষা জীবন পাড় করেছেন। মাহমুদ আল হাসান চাকুরী জীবনে নিজের জন্য কিছুই করেননি। মাহমুদ আল হাসানের পিতার মাত্র কিছু জমি আছে, তাছাড়া দেশের কোথাও মাহমুদ আল হাসানের নামে জায়গা জমি নেই।তিনি তার চাকুরী জীবনে ৫ টি উপজেলায় উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হয়েও জনপ্রতিনিধিদের মতো উপজেলাবাসীর কাছে সুনাম অর্জন করেছেন। বিশেষ করে করোনা-কালীন সময়ে মানুষ যখন মৃত্যুর আত্মকে, সেই মহা বিপদের সময়, নিজের জীবনবাজি রেখে জনগণের পাশে থেকে সচেতনতা প্রচার ও দিনমজুর পরিবারে সরকারের বরাদ্দের খাদ্য পৌঁছে দিয়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন মাহমুদ আল হাসান। বর্তমানে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তিনি। মাহমুদ আল হাসান নামটি ভূমিদস্যু, অবৈধ বালু ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ী ও দালালদের কাছে এক আত্মকের নাম। তার বাস্তব প্রমাণ মিলেছে, দেবীগঞ্জ, বোদা, দিনাজপুর সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান, গ্রাম পুলিশদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী যোদ্ধা হিসেবে তৈরি করে তুলছেন। মাদক, বাল্য বিবাহ, অবৈধ বালু মহল, পুলিশের কাজে সহযোগীতা-সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর গাইবান্ধা সদর উপজেলার সকল গ্রাম পুলিশকে মাহমুদ আল হাসান নিজেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। গাইবান্ধা সদরে দায়িত্বে বসেই ঠান্ডা করেছেন অবৈধ বালু মহল, মাদক ব্যবসায়ী, বাল্য বিবাহ, সরকারের খাস জমি দখলদার দের। অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব প্রকল্প আশ্রায়নের ঘর বন্দবস্তে শতভাগ দায়িত্ব পালন, শীতার্ত পরিবারে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ-সহ সরকারের সকল ধরণের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে চলেছেন তিনি। এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসানের সাথে বাংলা এফএম-এর কথা হলে তিনি জানান, গ্রাম পুলিশদের সব বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া থাকলে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কাজে ব্যাপক সুবিধা আসবে। তিনি আরো জানান, তার নামে দেশের কোথাও এক শতাংশ জমি নেই। চাকুরী জীবনে ডাল ভাত খেতে চায় মাহমুদ আল হাসান। সবার থেকে দেশ বড়, তাই আমি রাষ্ট্রের জন্য কাজ করার শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে চলেছি। চাকুরির বাকি জীবনে যেন মহান আল্লাহতালা আমাকে অন্যান্য উপজেলার মতো দায়িত্ব পালনের তৌফিক দেন। এমনটাই প্রত্যাশা করেন সৎ নিষ্ঠাবান খেতি অর্জন কারী (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ- জি.কে. রাসেল
শিক্ষা তথ্য পত্রিকার কোন লেখা, ছবি বা ভিডিও কপি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।