সাজ্জাদ আহমেদ মাসুদ, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর গলাচিপায় হামিদা আক্তার (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে। পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত পিটিশন মামলা নং- ৫৯২/২০২৫। অপহৃত হামিদা উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরকাজল ইউনিয়নের চরশিবা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট (সিটিআই) স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী। মামলার বাদী ভিকটিমের মা মোসা. রাবেয় বেগম। তারা চরশিবা গ্রামের বাসিন্দা। আদালতের নির্দেশ পেয়ে অপহরণের ১৫ দিন পরে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশাদুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় চরকাজল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এসআই কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ভিকটিমকে উদ্ধার এবং প্রধান আসামি চরশিবা গ্রামের করিম গাজীর ছেলে মো. জোবায়ের গাজী (২০) ও তার বড় বোন আখি বেগমকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।
বিজ্ঞ আদালত ভিকটিমকে সেইভ কাস্ট্ররিতে এবং আসামিদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। মামলার বিবরণীতে ভিকটিমের মা মোসা. রাবেয়া বেগম উল্লেখ করেন, তার মেয়ে হামিদা গত ১১ আগস্ট সোমবার বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে কোচিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিষ্ঠানটির সামনে থেকে আসামিরা তাকে ফুসলিয়ে ও ভীতি প্রদর্শন করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। পরে চরশিবা লঞ্চঘাট হয়ে ট্রলারে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। মামলার প্রধান আসামি মো. জোবায়ের গাজী (২০) সহ আসামী করা হয়েছে
পরিবার ও সহযোগী কয়েকজনকে। বাদীর অভিযোগ, পূর্ব থেকে আসামি জোবায়ের বিভিন্ন সময় তার মেয়েকে কু-প্রস্তাব এবং অপহরণের হুমকি দিতো। বিষয়টি পরিবারকে জানালে উল্টো জোবায়েরের বাবা-মা ছেলেকে উৎসাহ দিতেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদী আরও জানান, মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তিনি অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। এমনকি আসামিদের কাছে গেলে তারা প্রকাশ্যে বলে দেয়, ‘তোমার মেয়েকে জোরপূর্বক নিয়ে গেছে তাতে কী হয়েছে?’ পরে গত ১৩ আগস্ট ভিকটিমের মা গলাচিপা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ
দেন। বাদীর দাবি, সাক্ষীদের মাধ্যমে ঘটনাটি প্রমাণিত হবে এবং তিনি ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন। আদালতের কাছে তিনি ভিকটিমকে উদ্ধারেরও জোড়ালো আবেদন জানিয়েছেন।